২৩ মার্চ রামু উপজেলা নির্বাচন: অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা

pic

রামু সংবাদদাতা: 
২৩ মার্চ বহু প্রতিক্ষিত কক্সবাজারের রামু উপজেলা পরিষদের নির্বাচন । নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে ইতিমধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের লড়াইয়ে কে হাসবেন বিজয়ের হাসি তা নির্ধারন করবেন একমাত্র ভোটাররাই। এদিকে কয়েকটি ইউনিয়নে অপ্রীতিকর  ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আহমেদুল হক চৌধুরী। তিনি ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্র  চিহ্নিত করে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার মো. মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তাই সহিংস ঘটনার সম্ভাবনা নেই।  কোথাও অপ্রীতিকরকর ঘটনা ঘটলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে বিএনপি সমর্থিত  চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮টি ইউনিয়নের ১৯ কেন্দ্রকে ঝূঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এসব কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে  ভোটগ্রহনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।  

এদিকে রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ১১ ইউনিয়নে ভোটারদের মাঝে  রয়েছে টানটান উত্তেজনা। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন প্রধান রাজনৈতিকদল আওয়ামীলীগ, বিএনপি এবং জামায়াতের ৪ জন প্রার্থী। এরা হলেন, রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল (দোয়াত কলম), খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক আবদুল মাবুদ (কাপ পিরিচ), উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরী (আনারস),ও উপজেলা জামায়াতের আমীর ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান (ঘোড়া) । এদের পক্ষে মাঠে নেমেছেন বর্তমান ও সাবেক এমপিরা। মর্যাদা রক্ষার প্রতিযোগিতায় তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে এতদিন  পথসভা, গণসংযোগ, মাইকিং, পোষ্টার, লিফলেটসহ নানামূখী প্রচারনায় অংশ নিয়ে সরগরম রেখেছিলেন জনপদ।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজলের পক্ষে মাঠে নামেন সাবেক সাংসদ ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। সর্বদলীয় চেতনার ব্যানারে সোহেল সরওয়ার কাজল তাঁর পদটি ধরে রাখতে চেষ্টা চালান । আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান  প্রার্থী, খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আবদুল মাবুদের পক্ষে নেমেছেন  বর্তমান সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল।  বিএনপির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল। অন্যদিকে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা জামায়াতের আমীর ফজলুল্লাহ মুহাম্মদ হাসানের পক্ষে মাঠে নেমেছেন বিএনপির সাবেক এমপি শহীদুজ্জামানের কর্মী সমর্থকেরা।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থীর নির্ঘূম প্রচারণায় মুখর ছিল পুরো উপজেলা। ভাইসচেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম (চশমা), বিএনপি সমর্থিত আলী হোসেন (টিউবওয়েল), দিদারুল আলম প্রকাশ দিদার বলী (তালা), এস মোহাম্মদ হোসেন (টিয়াপাখি), আবুল কালাম সিকদার (উড়োজাহাজ) ও আলহাজ্ব মৌলানা হাফেজ আবদুল হাই (মাইক)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ২ জন হলেন- আওয়ামীলীগ সমর্থিত মুসরাত জাহান মুন্নী (প্রজাপতি) ও বিএনপি সমর্থিত ফরিদা ইয়াছমিন (কলসি)।

এ  নির্বাচন শেষে  কে হাসতে পারে শেষ হাসি তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে রামুবাসী। রামু উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে মোট  ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮০১ জন। এদের মধ্যে ৭০ হাজার ৮৫২ জন পুরুষ ও ৬৮ হাজার ৯৪৯ জন মহিলা ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে জীবনে প্রথম ভোট দেবেন ১৫,২৬১জন ভোটার। রামু উপজেলা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৫০ টি, ভোট কক্ষ  ৩২৪ টি ।      

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন