লামায় জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচনের প্রচারণা
আগামি ১১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নির্বাচনী এলাকায় ছেয়ে গেছে পোষ্টার, ব্যানারে। পাহাড়ী জনপদের অলি-গলি, বাসা-বাড়ি আর চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আলাপ আলোচনা। দিন যত ঘনিয়ে আসছে প্রচার-প্রচারনাতেও ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন প্রার্থীরা।
ভোটারদের কাছে গিয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিগত দিনের ভুল ত্রুটি সংশোধন করে নতুন করে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের।
এদিকে আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ক্ষমতাসীন চেয়ারম্যানদের অতীতের ভুল ভ্রান্তি তুলে ধরে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরছেন। তাদের মতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের জয় নিশ্চিত।
উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে লামা, ফাঁসিয়াখালী এবং আজিজনগর ইউনিয়নে নিজ দলের বিরোধী প্রার্থীর সাথে প্রতিদন্ধীতা করতে হচ্ছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে। লামা ইউনিয়ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আক্তার কামাল এবং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ওমর ফারুক দলের গঠনতন্ত্র লংঘন করে দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে নির্বাচন করায় ইতিমধ্যে দল থেকে বহিস্কার করা হলেও আজিজনগরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদ আহমদ দলীয় কোন পদে না থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি আওয়ামী লীগ। আজিজনগরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদে নির্বাচন করছে। যার ফলে ৩ ইউনিয়নে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন নৌকা প্রতিকের প্রার্থীরা।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে, ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর লামা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রচারনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন প্রার্থীরা। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাউজ ক্যাম্পেইন, উঠোন বৈঠক এবং পাড়ায় পাড়ায় জনসভাসহ নানাবিধ কর্মসূচীর মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারনা।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের সাথে দলীয় নেতা-কর্মীরাও প্রচার প্রচারনায় সমান ভাবে অংশ গ্রহন করছেন। দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠন গুলো দিন রাত প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন। বিগত দিনে এলাকায় উন্নয়নের কারনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা তাদের জয়ের ব্যাপারে শত ভাগ আশাবাদী।
অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জানিয়েছেন, ভোটারদের ইচ্ছায় ও দাবীর প্রেক্ষিতে তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তারা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আসন্ন এই ভোট যুদ্ধে প্রচার-প্রচারনায় পিঁছিয়ে নেই সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরাও। মহিলা প্রার্থীদের সাথে তাদের স্বামী-সন্তান এবং পুরুষ সদস্যদের সাথে তাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা সমান ভাবে রাত দিন প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সবারই প্রত্যাশা ভোট যুদ্ধে জয়ী হওয়া।
বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, বান্দরবান জেলায় ২য় ধাপে ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে লামায় ৭টি ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে বলেও জানান তিনি।