`সকল বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে’
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুইমারাতে পালিত হলো পার্বত্য শান্তি চুক্তির ১৭তম বর্ষপূর্তি। সকালে ২৪ আর্টিলারী ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়নের উদ্যোগে বেলুন আর শান্তির পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ তোফায়েল আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইছে, সকল বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে অচিরেই পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হবে। শান্তি ছাড়া কখনো দেশের উন্নতি হয়না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল খালেক, জেলা পরিষদ সদস্য শাহাবউদ্দিন মিয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরী, মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল ইয়াসির জাহান, পলাশপুর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মোখলেসুর রহমান, যামিনীপাড়া জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল আমিন, লক্ষীছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল বাতেন, রামগড় জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল খালেদ বিন ইউসুফ, সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে.কর্নেল রাব্বি আহসান, মানকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শারমিন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বকাউল, গুইমারা রিজিয়নের জিটুআই মেজর হাসান আরাফাত, রামগড় সার্কেলের এএসপি মোঃ শাহজাহান হোসেন, মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা, লক্ষ্মছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা, মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র আবু ইউসুফ চৌধুরী, গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান, মেমং মারমা, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান উষ্যেপ্রু মারমাসহ বিভিন্ন উপজেলার হেডম্যান-কার্বারী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও স্থনীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
পরে গুইমারা স্কুল থেকে একটি শান্তি র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রিজিয়ন সদর দপ্তরে এসে মতবিনিময় সভা ও প্রীতিভোজে মিলিত হয়।
এসময় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক দাবী করে উভয় পক্ষের সহযোগীতায় এ চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব বলে আলোচনা সভায় তুলে ধরেন বক্তারা। বিকেলে গুইমারা রিজিয়ন মাঠে এক সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপজাতীয় শিল্পীদের মনমুগ্ধকর নাচ-গানে মাতিয়ে তুলে পুরো এলাকা।