ইফতার কিনতে চকবাজারে ক্রেতাদের ভিড়

fec-image

ইফতার কিনতে চকবাজারে ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে। বিকেল থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। এসময় ক্রেতারা দাম নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ কনেছেন।

ইফতার কিনতে আসা একজন বলেন, বাসায় ইফতার বানানো হলেও বাইরে থেকে ইফতার না নিলে, মনে হয় কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে এ বছর ইফতারের দাম বেশি থাকায় একটু কম কম কিনছি।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) প্রথম রোজা চকবাজারের শাহী জামে মসজিদের সামনের ঐতিহ্যবাহী এ ইফতার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জুমার নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই চকবাজারের ইফতার মার্কেটে দোকান খোলা শুরু করে, সেই সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। তবে এ বছর ইফতারের দাম কিছুটা বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা অসন্তুষ্টি রয়েছে।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা আক্রাম হোসেন বলেন, বাসায় আমাদের ইফতারি বানানো হয়। তারপরও আমরা বাইরে থেকে ইফতার নেই কারণ এটা আমাদের একটি রেওয়াজ। এ বছর ইফতারের দাম অনেকটা বাড়তি।

মিরপুর থেকে চকবাজারে ইফতার কিনতে আসা সবুজ মিয়া বলেন, পুরান ঢাকার ইফতারিতে আলাদা একটা আকর্ষণ আছে। এজন্য প্রথম রোজায় এখান থেকে ইফতার নিতে এসেছি। এখানকার বড় বাপের পোলা খায়, খাবারটির বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। তবে এবার ইফতার পণ্যের দাম অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

এক ব্যবসায়ী বলেন, এবছর সকল নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বিগত যেকোনো সময়ের থেকে কয়েকগুণ। তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে।

আরেকজন ব্যবসায়ী জানান, গরু ও খাসির মাংসের তৈরি ইফতারি পণ্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। মুরগি ও অন্যান্য ইফতারি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

চকবাজারের ইফতারির মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শাহী পরোটা, আস্ত মুরগির কাবাব, গরুর সুতি কাবাব, বটিকাবাব, টিকাকাবাব, চিকেন কাঠি, শামিকাবাব, শিকের ভারী কাবাব, সুতিকাবাব, জিলাপি, শাহী জিলাপি, হালিম, দইবড়া, কাশ্মীরি সরবত, খাসির পায়া এবং সব থেকে আকর্ষণীয় ও মজাদার খাবার ‘বড়বাপের পোলায় খায়’।

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শাহী পরোটার দাম ৬০ থেকে ১২০ টাকা, গরুর সুতি কাবাব কেজি প্রতি ১৪০০ টাকা, খাসির সুতি কাবাব ১৬০০ টাকা, ছোলা-ঘুঘনি ৩০০ টাকা কেজি, ফালুদা এক লিটার ২০০ টাকা, দইবড়া পিস ২০ টাকা, সাধারণ জিলাপি ২০০-২২০ টাকা কেজি ও শাহী জিলাপি ৩০০ টাকা কেজি এবং বড় বাপের পোলায় খায় ৮০০ টাকা কেজি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইফতার, কিনতে, ক্রেতাদের
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন