১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজাতি সন্ত্রাসীদের বাঙালিদের উপর হামলা ও অগ্নিসংযোগে পিবিসিপি’র তীব্র নিন্দা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
রাঙামাটিতে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক নিরীহ বাঙালিদের উপর বর্বরোচিত হামলা, লুটপাট ও বসতবাড়ি, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষতিপুরণের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ চবি শাখা।
সোমবার সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও ক্ষতিপুরণের দাবি জানায় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ চবি শাখা।
বিবৃতিতে ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়, রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ উদ্ধোধনকে কেন্দ্র করে গত শনিবার (১০ জানুয়ারি) রাঙামাটিতে অবরোধের ডাক দেয় সন্তু লারমা পরিচালিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। এ অবরোধকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা নিরীহ বাঙালীদের উপর গুলি বর্ষণসহ বিভিন্নভাবে বাঙালি নিধনে ঝাপিয়ে পড়ে।
এতে পুলিশসহ ১৭ জন বাঙালী মারাত্মকভাবে আহত হন। পরিস্থিতি অশান্ত বুঝে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেন। গত (রোববার) ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বনরূপা, বেদবেদি, তবলছড়ি এলাকার নিরীহ, নিরপরাধ বাঙালি ব্যবসায়ীদের উপর গুলি বর্ষণ করে ২০ জন বাঙালিকে আহত করে উপজাতীয় সসস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
এ সময় উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তবলছড়ি এলাকায় অন্তত ৫টি বাঙালি বসতবাড়ি ও দোকানপাটে অগ্নি সংযোগ এবং লুটপাট করে। এতে বাঙালিদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
বিবৃতিতে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ ও পরক্ষ ইন্ধন দাতা সন্তু লারমা এবং উষাতন তালুকদারকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাঙালিদেরকে যথাযত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য এলাকার সর্বস্তরের শান্তি প্রিয় মানুষদেরকে নিয়ে তুমুল আন্দোলান গড়ে তুলবে।