রোয়াংছড়িতে টেন্ডার ছাড়াই ৩৪ লাখ টাকা লুটপাট
রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি:
রোয়াংছড়ি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের টেন্ডার ছাড়াই ৩৪ লাখ টাকা লুটপাট ও দূর্নীতি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে গোলাম মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী বিরুদ্ধে। জানা গেছে উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে গোলাম মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী যোগদানে পর থেকে টেন্ডার না দিয়ে গোপনে বরাদ্দকৃত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয় ঠিকাদারা বলেন, ছোট খাট টেন্ডারগুলো খুললেও এমাউন্ট বেশি হলে তা টেন্ডার ছাড়াই ভাগ যোগ করে ফেলে বলে। টেন্ডার দিয়ে ঠিকাদারা কাজ পেলেও ভাল ভাবে কাজ করতে পারেননি। বিল পাশ করার সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে মোটা অংকে টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দেওয়ার অপারগতা জানালে তার বিল পাশ না করে আটকিয়ে রাখে বলে জানান।
সরকার দেশে উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে বরাদ্দ দিয়ে কোন কাজ হয়নি। দেশের গ্রাম গঞ্জে উন্নয়নের জন্য কাজ যাচ্ছে সরকার। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে বরাদ্দ টাকাগুলো বাস্তবায়ন না করে নিজেদের আত্মসাৎ করেছে। সাম্প্রতিক উপজেলা পরিষদ ভবন রিপেয়ারিন করার জন্য ৩৪ লাখ টাকার বরাদ্দ পেয়ে গোপনে টেন্ডার শো দেখিয়ে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। এর পর নিজেদের মধ্যে হিসাব না মিললে এ অভিযোগ উঠে আসে।
জানা গেছে গোলাম মো. মহিউদ্দিন যোগদানের পর থেকে এঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উন্নয়নে ঘাততি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে এ প্রকৌশলী। সে প্রকৌশলী আসার পর থেকে বরাদ্দ টাকার লুটপাট করছে এবং দূর্নীতি অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মরত হিসাব রক্ষক মো. আবুল কাশেম বলেন এব্যাপারে উত্তর দিতে অপারগতা জানান। তিনি এই বিষয় থেকে এরিয়ে যাওয়া চেষ্টা করেন। আমি জানে না,এ উপজেলাতে বদলী হয়ে নতুন যোগদান করছে। এখানে থাকার একজন সহকারি হিসাব রক্ষক জানবেন বলে জানান তিনি।
হিসাব সহকারি মো. সৈকত হোসেন চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এলজিইডি উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহিনুর আলম কাছে জানতে চাইলে তিনি মুখ খুলতে নারাজ। তার কাছে বার বার জানতে চাইলে তিনি বলেন বিস্তারিত জানেন না কিন্তু উপজেলা ভবনে রিপেয়ারিং কাজে ৩৪ লাখ টাকার অনুমোদন হয়ে আসছে। এ সমস্ত কাজ প্রধান প্রকৌশলী জানবেন তার সাথে যোগাযোগ করার কথা জানান। প্রধান প্রকৌশলী গোলাম মো. মহিউদ্দিন সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।