পর্যটক বধূকে গণধর্ষনের ঘটনায় রাঙামাটিতে হোটেল সিলগালা: আসামী আনোয়ারকে ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন পুলিশের !
আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:
হোটেলের অভ্যন্তরে ম্যানেজারসহ ছয় নরপশু কর্তৃক পর্যটক দম্পতিতে গণধর্ষণ ও বেদম মারধরের ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক রাঙামাটি শহরের বিতর্কিত আবাসিক হোটেল পাহাড়িকার লাইসেন্স বাতিলের পর এবার হোটেলটিকে সিলগালা করে দিয়েছে রাঙামাটির পুলিশ বিভাগ। শনিবার রাতে হোটেলটি সিলগালা করেন নির্মম এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আইও জেলা পুলিশের এএসপি সার্কেল মনিরুজ্জামান। হোটেলটির ভেতরে ঢোকার দুইটি প্রবেশদ্বার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তালাগুলোতে সিল মোহর মেরে দেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের এএসপি সার্কেল মনিরুজ্জামান জানান, আমরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে হোটেলটিকে সিলগালা করে দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটেলের প্রবেশদ্বারে লাগানো সিল মোহর খোলা হবে না বলে জানান এএসপি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মামলার আইও এএসপি সার্কেল জানান, আপাত দৃষ্ঠিতে মামলার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এই মামলায় আটককৃত প্রথম আসামি রফিককে দুই দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে মামলা দায়েরের নয়দিন পর অভিযুক্তদের মধ্যথেকে এই মামলায় তিন নাম্বার আসামী আনোয়ারকে চট্টগ্রামের মহেষখালী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে আটককৃত আসামী আনোয়ারকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসেন এসআই আশরাফুল ইসলাম। এনিয়ে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার ছয়জন আসামীর মধ্যে দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ।
সার্কেল এএসপি মনিরুজ্জামান জানান আনোয়ারকে আদালতে হাজির করে পাচঁদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে পরে আদালত যে নির্দেশনা প্রদান করেন সেই অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি পর্যটন সেক্টরে দারুনভাবে প্রভাব ফেলা নির্মম নির্যাতন ও নববধূকে গণধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের অবস্থান হলো রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কের রানীরহাট এলাকায়। সেখানে তার বোনের শশুড় বাড়িতে অবস্থান করছে সে। অপর দুইজন সিলেট জেলাধীন সুনামগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এছাড়া আসামীদের পক্ষে রাঙামাটি শহরের একটি প্রভাবশালী মহল আসামীদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মামলা থেকে আসামীদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য কোতয়ালী থানায় ও একটি রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে ব্যবহারের তদবির চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে দালাল নির্মুল হলো না। কাউকে গণধর্ষন হত্যা করা হচ্ছে। আর কিছু কুত্তা আসামিদের পখ্খ নেয় টাকার জন্য।