আমরা তো ঘর ন পাই
পানছড়ি উপজেলার ফাতেমা নগর গ্রামে ২৫টি মারমা পরিবার রয়েছে। তাদের বেশীর ভাগই দারিদ্র সীমা ও জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস। জঙ্গল থেকে লাকড়ি, কচু শাক, ঢেকি শাক, থানকুনি পাতা জাতীয় দ্রব্যাদি তুলে বাজারে বিক্রি করেই তারা সংসারের খরচাদি চালায়। তাছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রেও তারা অনেক পিছিয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় করুণ দশার চিত্র। এ সময় মৃত ঊষাঅং মারমার স্ত্রী হ্লাউমা মারমা (৫০) ও মৃত পাইরুইঅং মগের স্ত্রী পুইসং মগ (৫৫) জানান, আমরা তো ঘর ন পাই, পোলা-মাইয়া লই এরে কষ্টে আছি। ভাঙ্গা ঘরে খাট নাই, চকি নাই, মাটিতে শুয়ে কোন রকম রাত কাটাই। তাছাড়া জঙ্গলে আগের মতো শাক-সবজি না থাকার কারণে মানবেতর দিন যাপন করছে। বর্ষা মৌসুমে এলেই আরো বড়ো বিপদ। ঘরের চাউনির ফুটো দিয়ে ঘরে পড়ে পানি।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা বাড়ী পেতে তারা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি চায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খুবই আন্তরিক। উনার নজরে এলে তারা নিরাশ হবেনা।
এ ব্যাপারে তাঁর সার্বিক সহযোগিতার কথা জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, সরেজমিনে গিয়ে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া অসহায়দের সার্বিক সহযোগিতা দিতে উপজেলা প্রশাসন সব সময় আন্তরিকতার সহিত কাজ করছে বলেও তিনি জানান।