দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন যারা

fec-image

আর মাত্র চারদিন বাকি। এরপরই রাণীর দেশে গড়াবে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করতে উন্মুখ থাকেন যেকোনো খেলোয়াড়। খেলতে পেলে সেটাকে পরম পাওয়া মনে করেন তারা।

স্বাভাবিকভাবেই দুই দেশের হয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা সৌভাগ্যের বিষয়। দুই দলের হয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে খেলতে পারাটা অনেক বড় গর্বের। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এ নজিরও আছে। দুই দেশের হয়ে যারা বৈশ্বিক আসরে অংশ নিয়েছেন আমাদের আয়োজন তা নিয়েই।

১. ইয়ন মরগান (আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড)

একসময় আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলতেন ইয়ন মরগান। ২০০৭ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে আইরিশদের হয়ে খেলেন তিনি। পরের বিশ্বকাপ ২০১১ থেকে খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। এবার ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তার অধিনায়কত্বে আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে এক নম্বরে পৌঁছেছেন তারা। ২০১৯ বিশ্বকাপে দলটির অন্যতম ব্যাটিংস্তম্ভ তিনি। আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেয়া এ ক্রিকেটারের অধীনে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন ব্রিটিশরা।

২. এড জয়েস (ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড)

জাতিতে আইরিশ তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের হয়েই অভিষেক হয়। যোগ্যতা বলে ইংল্যান্ড দলে ঠাঁই করে নেন। ইংলিশদের হয়ে ২০০৭ বিশ্বকাপে অংশ নেন তিনি। পরে ফের আয়ারল্যান্ডে ফেরেন তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপে ছোট দেশটির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন।

আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের হয়ে ৭৮ ওয়ানডে খেলেছেন জয়েস। ক্যারিয়ারে ১৫টি হাফসেঞ্চুরি ও ছয়টি সেঞ্চুরিসহ দুই হাজার ৬২২ রান করেছেন তিনি। গেল বছর মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান।

৩. এন্ডারসন কামিন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও কানাডা)

অলরাউন্ডার এন্ডারসন কমিন্সের ক্যারিয়ার শুরু হয় উইন্ডিজের হয়ে। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ক্যারিবীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। এরপর কানাডায় পাড়ি জমান। ২০০৭ বিশ্বকাপে ছোট দলটির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন এ বোলিং অলরাউন্ডার।

৪. কেপলার ওয়েসেলস (অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা)

জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায় হলেও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন কেপলার। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে অজিদের হয়ে অংশ নেন তিনি। ১৯৯১ সালে স্বদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়ে খেলা শুরু করেন। ১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন