দীঘিনালায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত তিন
দীঘিনালায় উপজেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (৬ জানুয়ারি) দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রী কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মুমূর্ষ অবস্থায় একজনকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর উপজেলা ছাত্রলীগ এবং দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকে কমিটি মানা-না মানা নিয়ে বিরোধ শুরু হয়।
পরে ১৫ নভেম্বর কমিটি বাতিলের দাবিতে বঞ্চিতরা সড়ক অবরোধ করে সাজেকগামী পর্যটকবাহী গাড়ি ভাংচুর করে। এছাড়া ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন নিয়ে দুপক্ষ মুখোমুখি হলে পুলিশ বাধা দেয়।
এঘটনায় বুধবার দুপুরে দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রী কলেজ এলাকায় হঠাৎ দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে, দেশ রুপান্তর পত্রিকার দীঘিনালা উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নূর হোসেন (৩৫), সদ্য ঘোষিত দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন রাহাত মানিক (২৪) এবং ইমন সিকদারসহ(২৩) তিনজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে আহত নূর হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে সদ্য ঘোষিত দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মেহেদি হাসান জানান, আমরা কলেজ এলাকায় গল্প করার সময় পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ সভাপতি পদ প্রত্যাশী অপু চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দেশ রুপান্তর পত্রিকার দীঘিনালা উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নূর হোসেন (৩৫), এবং দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রী কলেজের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন রাহাত মানিকসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।
এব্যাপারে সদ্য ঘোষিত দীঘিনালা উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটির সহ সভাপতি অপু চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাদের উপর আমরা হামলা করিনি, তারাই উল্টো আমাদের ২/৩ কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। এসময় তিনি আরও জানান, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি নূর হোসেনকে আমাদের লোকজনে হামলা করেনি।
এব্যাপারে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ রাসেদুল আলম জানান, আহত তিনজনের মধ্যে গুরুতর আহত নূর হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনায় কোন পক্ষ মামলা করেনি।