বড় মহেশখালীর প্রবাসী ছালামত উল্লাহ নিহতের ২ বছরে সুরাহা হয়নি বিচার : মামলার ঘানি টানছে পরিবার !
মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীর প্রবাসী ছালামত উল্লাহ নিহতের ২ বছর পরও সুরাহ হয়নি তার পারিবারিকভাবে বিচার কার্যটি। উল্টো হত্যাকারীদের ভাইদের মিথ্যা মামলার ঘানি টানছে নিহতের পরিবার।
সুত্র জানান, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭ নং ওর্য়াডের সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়ার দুইপুত্র ওমান প্রবাসী রাহামত উল্লাহ প্রকাশ রুবেল ও তার ভাই
সালাম দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া জাল ভিসার মাধ্যমে ওমান পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এমন একটি ভয়ানক বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে বড় মহেশখালী জাগির ঘোনা এলাকার আনোয়ার পাশার পুত্র শহিদুল্লাহ।
ওমান প্রবাসে নিহত ছালামত উল্লাহর ভাই জানান, গত ২০১৮ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়ার পুত্র রাহামত উল্লাহ প্রকাশ রুবেল ওমান নেওয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার
টাকা গ্রহণ করে আমার কাজ থেকে। একটি ওমানের ভিসা পাঠিয়ে ওমানে নিয়ে যায় আমার ছোট ভাই সালামত উল্লাহকে। কিন্তু সেটি ছিল জাল ভিসা যার কারনে আমার ছোট ভাই ওমানে গিয়ে কোন কাজ করার সুযোগ পায়নি। বিষয়টি আমাদের পরিবারের সদস্যদের অবগত করলে আমরা বার বার রাহামত উল্লাহ রুবেলের পিতাকে অবগত করলেও কোন কাজ হয়নি।
এক পর্যায়ে গত ২০১৮ সালের ২২ জুলাই কাজ করার জন্য একামা দেওয়ার কথা বলে পরে একামা না দেওয়াতে আমার ছোট ভাই সালামত উল্লাহ সাথে রাহামত উল্লাহ ঝগড়া হয়।
এক পর্যায়ে ওমানে নিয়ে যাওয়া রাহামত উল্লাহ ও তার ছোট ভাই মোঃ সালামসহ ২৪ জুলাই আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ওমানে। দূর্ঘটনার শিকার বলে চালিয়ে দেয় দেশের মানুষকে।
ঘটনার কিছু দিন পর একটি মারামারি বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে তারা।
এদিকে ঘটনার ২ বছর পর আমাদের পরিবারের সকল সদস্যদেরকে হয়রানি করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। আমরা উক্ত ঘটনার সুষ্টু বিচার ও মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার চাই। সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য রাহামত উল্লাহ রুবেল ও তার ভাই মোঃ সালাম‘র দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ সকলের অবগত ছিলেন।