মহেশখালীতে সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহায়তা

fec-image

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ‘পুনর্বাসন সহায়তা’ প্রদান করেছে জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা এলাকায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এলাকা গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একটি হিন্দু পরিবারকে আমরা সহায়তা দিয়েছি। দেশের যে কোন জাতীয় দুর্যোগে সবার আগেই পৌঁছে যাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। হাজার ষড়যন্ত্র করেও মানবিক কাজ থেকে আমাদের সরানো যাবে না।’

উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে হামিদ আযাদ বলেন, ‘আপনাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক হৃদয়ের। মনপ্রাণ দিয়ে আপনাদের ভালোবাসি। সেই ভালোবাসার টানে শত প্রতিকূলতার মাঝেও হাজির হয়েছি। আমরা ত্রাণ দিতে আসি নি। উপহার দিতে, আপনাদের দুঃখের অংশীদার হতে এসেছি। মুসলিম ভাই হিসাবে কষ্ট ভাগাভাগি করে নিলাম। আপনাদের দুঃখের সঙ্গী হতে পারলাম, এটাই আমাদের সান্ত্বনা।’

আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, ভোটের জন্য আপনাদের সামনে আসি নাই। ভোটের জন্য মানবকল্যাণ নয়। আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের খোঁজখবর নিতে এসেছি। এটি নবীর সুন্নতও।’

কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সাবেক এমপি এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সরকার চলে। আপনাদের দুর্যোগে সরকারের সহায়তা করা উচিত ছিল। এক্ষেত্রে সরকার অবহেলা করেছে। চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। যে সরকার জনগণের দায়িত্ব পালন করতে পারে না, তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই।

আপনারা কী চান, মানুষ শান্তিতে থাকুক, সুখে থাকুক, শান্তিতে চলাফেরা করুক, কথা বলার অধিকার পাক, ভোটাধিকার পাক? -জিজ্ঞাসা হামিদ আযাদের।

ইজ্জত, সম্মান এবং অধিকার নিয়ে মানুষ বসবাস করুক- এটা কি আপনারা চান? এর একমাত্র সমাধান ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা।

জামায়াতে ইসলামী মানবকল্যাণ ধর্মীয় সংগঠন। যেখানে মানুষের দুর্দশা, অসুবিধা সেখানেই জামায়াতে ইসলামী। যেখানে দুর্যোগ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় সেখানেই জামায়াতে ইসলামী। এভাবে সবসময় আমরা মানুষের পাশে থাকব।

অনুষ্ঠানে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম বাহাদুর, কর্ম পরিষদ সদস্য ও উপজেলার সাবেক আমির জাকের হোসাইন, জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান, শ্রমিক কল্যাণের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এম.ইউ বাহাদুর, মহেশখালী উপজেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার শামিম ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আজিজুল হক, জামায়াত নেতা ডা. নূর হোসাইন, এখতেয়ার উদ্দিন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি কফিল উদ্দিন, বড় মহেশখালী জামায়াতের সভাপতি মো. জালাল, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কুতুবজোমের সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিমসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ক্ষতিগ্রস্ত, পুনর্বাসন, মহেশখালী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন