ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী

সেন্টমার্টিনে মৎস্য আহরণ উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

fec-image

কক্সবাজারের ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত টেকনাফের সেন্টমার্টিনে সাগরে মৎস্য আহরণে উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) সেন্টমার্টিন বাজারে ৩ টায় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও পথ সভা করা হয়।

এ সময় মৎস্যজীবীরা দাবি জানায় যে, একদিকে মোখায় তছনছ সেন্টমার্টিন দ্বীপ অন্যদিকে পর্যটন ব্যবসা বন্ধ থাকায় জীবীকা নির্বাহের কোনো মাধ্যম নেই দ্বীপে।শুধুমাত্র এবারের মতো সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে আরও বলা হয়, মোখায় আক্রান্ত হয়ে ৮০-৯০ ভাগ দ্বীপের লোকজন এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এর মধ্যে সাগরে ৬৫ দিন বন্ধ থাকলে দ্বীপে দুর্ভিক্ষ হওয়া আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সৈয়দ আলম, সেন্টমার্টিন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল হক জিয়া, বোট মালিক ফিশিং কামাল উদ্দিন, সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সেন্টমার্টিনবাসীর প্রতি সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করছি। কিন্তু বিষয়টি সমগ্র বাংলাদেশের উপকূলের জন্য বহাল রয়েছে। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের বিষয়। তার একা কিছু করার ক্ষমতা নেই বলে তিনি জানান।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, জেলেদের একটি স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি।  সেটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হবে। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা পরিবর্তন, স্থগিতকরন সরকারি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।  নতুন কোনো নির্দেশনা না আসায় এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
এছাড়া এ সময়ের জন্য তালিকাভুক্ত জেলেদেরকে বিশেষ কর্মসূচিরর আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, ২০ মে থেকে ৬৫ দিন পর্যন্ত মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সাগরে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে টেকনাফে ইতোমধ্যে একটি মোবাইল কোর্ট ও তিনটি অভিযান পরিচালনা করে হাজারো কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ক্ষতিগ্রস্ত, ঘূর্ণিঝড়, মৎস্য আহরণ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন