মহেশখালীর সেই ধর্ষিতা উদ্ধার, মহিলা মেম্বার আটক!
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী এলাকায় এক চাকরিজীবী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এ্যাকশন শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত মহিলা মেম্বারকে আটক করেছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে সংবাদ প্রকাশ হলে এই চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনার সংবাদ প্রকাশে প্রশাসনের টনক নড়ে। সাথে সাথে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মহিলা মেম্বার শামীমাকে আটক ও ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। কালামারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ এই অভিযান চালায়। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, বিকাল ৫টার দিকে কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধারে মাতারবাড়িতে অভিযানে যায়। তারা মহিলা ইউপি মেম্বার শামীমার বাড়ি থেকে ধর্ষিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেম্বার শামীমাকে আটক করা হয়েছে। দু’জন থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর মেম্বার শামীমাকে ছেড়ে দেয়া হবে।
ওসি আরো জানান, মেয়েটির জবানবন্দির উপর ভিত্তি করেই মামলার এজাহার লেখা হচ্ছে। রাতেই মামলা রুজু করা হবে। তবে ইতিমধ্যে ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, চালিয়াতলী এলাকার মৃত আবুল হাছির পুত্র আমির সালাম, মোস্তাক আহমদের পুত্র এনিয়া এবং নলবিলা দরগাহপাড়ার মোক্তার আহমদের পুত্র আদালত খাঁ ও সিএনজি চালক ওসমান গণিসহ ১৪ জন মিলে গত ১০ জুলাই রাতে পাহাড়ে নিয়ে ওই তরুণীতে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাতারবাড়ি সড়কের সিএনজি লাইনম্যান রশিদ, চালিয়াতলী এলাকার মেম্বার লিয়াকত আলী ও মাতারবাড়ির মহিলা মেম্বার শামীমা অপচেষ্টা চালায়। তারা ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করে প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিলো।