সেন্টমার্টিনে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত, উত্যক্তকারীকে পুলিশে দিলো পিতা


ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন বিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মায়মুনা আক্তার শেফা (১৪)। আহত স্কুল ছাত্রী স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড ডেইল পাড়ার আবু বক্কর ছিদ্দিকের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১১টার সময় স্কুলটির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় স্থানীয় যুবক শহিদুল ইসলাম জুয়েল (১৯) এ ঘটনা সংঘটিত করেছে বলে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে আহত ছাত্রীর পিতা।
এ ঘটনায় প্রায় ২ ঘন্ট বিক্ষোভ করে রাস্তাঘাট অবরোধ করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয় পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ ছেলে শহিদুল ইসলাম জুয়েল ওই ছাত্রীকে প্রায় ৬ মাস পূর্বে থেকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রীর পোস্ট দেওয়া সহ উত্ত্যক্তের ধরন চরম আকারে ধারণ করে। এরই প্রেক্ষিতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে স্কুলের ক্লাস শেষে টিফিনের জন্য বের হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎপেতে থাকা যুবকটি উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে করে। মেয়েটির শোর চৎকারে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে ছেলেটি পালিয়ে যায়। সেই সাথে শেফাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেন্টমার্টিন হাসপাতাল, পরে স্পিডবোটযোগে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীর চাচা মৌলানা মো. ছিদ্দিক জানান, ওই বখাটে যুবক প্রতিনিয়ত ইভটিজিং করে আসছে। এই ব্যাপারে একাধিকবার সালিশও করা হয়েছে। তারপরেও বেপরোয়া হয়ে আজকে হত্যার উদ্দেশ্য ছুরিকাঘাত করে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজালাল সরকার জানান, ছেলেটা বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও করা হয়েছে। সর্বশেষ ছাত্রীটি টিফিনে গেলে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে ছাত্রীটি টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার সাথে জড়িত যুবক শহিদুল ইসলাম জুয়েলকে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করেছে পিতা ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মৌলভী ফিরোজ আহমেদ। তিনি জানান, এমন অবাধ্য ছেলেদের কারণে পারিবারিক মানসম্মান থাকে না। এমন ছেলের কারণে দ্বীপের শান্তিপূর্ণ শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ দূষিত হবে। তাই শিক্ষা দিতে তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, ” এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। “