অর্থ সংকটে ইউক্রেন থেকে মুখ ফেরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?

fec-image

দেড় বছর পার হলেও চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আমেরিকার অস্ত্রবলে রুশ ফৌজকে প্রবল পালটা মার দিচ্ছে কিয়েভ। কিন্তু এবার অর্থ সংকটে টান পড়তে শুরু করেছে ওয়াশিংটনের। তাই ইউক্রেনকে সাহায্য করার মতো আর কোনও অর্থ নেই বাইডেন প্রশাসনের হাতে নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। এই অবস্থায় দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেস যদি অতিরিক্ত তহবিল সরবরাহের জন্য বিল পাশ না করে, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াই করা কঠিন হয়ে যাবে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত তহবিল সরবরাহের আহবান জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে হোয়াইট হাউস। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার এরই মধ্যে ইউক্রেনকে প্রায় ১১১ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণে সামরিক সহায়তা দিয়েছে ইউক্রেনকে।

চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন প্রশাসনের বাজেট ও ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিভাগের পরিচালক শ্যালান্ডা ইয়ং বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কংগ্রেসের পদক্ষেপ ছাড়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের জন্য আরও অস্ত্র ও সরঞ্জাম সংগ্রহ ও মার্কিন সামরিক ভান্ডার থেকে সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য আমাদের সামর্থ্য শেষ হয়ে যাবে।’

গত অক্টোবরে হোয়াইট হাউস ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের কাছে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত তহবিল পাশের অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু হাউসে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির মধ্যকার মতানৈক্য এবং স্পিকারের পদ নিয়ে অস্থিরতার কারণে বিষয়টি চাপা পড়ে যায়।

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেটের কাছে লিখিত চিঠিতে শ্যালান্ডা ইয়ং আরও বলেন, ‘তহবিল প্রদানে ব্যর্থ হলে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেন পিছিয়ে পড়বে। ফলে এই যুদ্ধে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত যা অর্জন করেছে তা কেবল ঝুঁকিতেই পড়বে না, রাশিয়ার সামরিক বিজয়ের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেবে।’

মার্কিন প্রশাসনের বাজেট ও ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিভাগের পরিচালক শ্যালান্ডা ইয়ং আরও বলেন, ‘এই অবস্থায় এই শূন্যস্থান পূরণে তহবিলের কোনো বিকল্প নেই। কারণ বর্তমানে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বা সময় কোনোটাই আর আমাদের নেই।’

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন