আর কত বয়স হলে বিধবা ভাতা জুটবে আজিজনগরের হালিমার
স্টাফ রিপোর্টার:
বিধবা হালিমা খাতুনের (৭৫) ভাগ্যে এখনো জুটেনি বিধবা ভাত। বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মিশন পাড়ার বাসিন্দা মৃত গোলাম বারীর স্ত্রী। ১৯৭২ সালে মৃত্যুবরণ করেন গোলাম বারীর।
৪৪ বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মানুষের ক্ষেত খামারে খেটে সংসার চালাতেন বৃদ্ধ এই নারী। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে চলাফেরা করতে পারছেন না তিনি। দুই ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে তার সংসার ছিল। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিন মজুর দুই ছেলের সাথে থাকতেন হালিমা খাতুন। অভাবের কারণে জীবনের শেষ লগ্নে এসেও কোনো রকম খেয়ে, না খেয়ে তার দুর্বিসহ দিন কাটাতে হচ্ছে হালিমার। জীবনের কঠিন বাস্তবতা আজ তার পাশে নেই কোন ঘনিষ্ঠজন।
বিধবা হালিমা খাতুন আক্ষেপ করে বলেন, কোনো তদবির করতে না পারায় স্বামীর মৃত্যুর ৪৪ বছর পরেও বিধবা কিংবা বয়স্ক কোনো ভাতাই পাচ্ছি না। সংশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য একাধিকবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিলেও এখনো কোন ভাতা মেলেনি।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহী নেওয়াজ বলেন, বিধবা কিংবা বয়স্ক নারী পুরুষের তালিকা তৈরি করার দায়িত্ব সংলিষ্ট ইউপি সদস্যদের। তারা তালিকায় হালিমা খাতুনের নাম অন্তর্ভক্ত না করায় সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শীঘ্রই হালিমা ভাতা পাবেন বলে শাহী নেওয়াজ এই প্রতিনিধিকে বলেন।