আলীকদমে সেনা অভিযানে এমএনপি কর্তৃৃক অপহরণের ২৫ ঘন্টা পর মুক্ত ৪ শ্রমিক

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
অপরহরণের ২৫ ঘন্টা পর সেনা অভিযানের ফলে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় দৌছড়ি এলাকা থেকে অপহৃত ৪ কাঠ শ্রমিককের মুক্তি মেলেছে। সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আলীকদম জোনের অধিনায়ক মেজর এসএম মেহেদী হাসান আল আমিন।

সেনা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার দৌছড়ি এলাকা থেকে ৪ কাঠুরিয়াকে অপহরণ করে ম্রো ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি) পরিচয়ে একটি সশস্ত্র দল। পরে অপহৃতদের মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হচ্ছিল।

স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, চকরিয়ার কাঠ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব কুতুব উদ্দিন সওদাগরের কাঠ কাটা শ্রমিক হিসেবে অপহৃতরা দৌছড়ি এলাকায় কাজ করতেন। গত রবিবার দুপুর একটার দিকে তারা অপহরণের শিকার হয়। অপহৃতরা হলেন, আব্দুর রহিম (৩০), মোঃ ইউসুফ (২৬), আব্দুল খালেক (২৫) পরান তঞ্চঙ্গ্যা (৩০)। চৈক্ষং ইউপি ওয়ার্ড মেম্বার শফিউল আলম জানান, অপহৃত ব্যক্তিরা কুতুব সওদাগরের কাঠ কাটা শ্রমিক হিসেবে ওই এলাকায় কাজ করতেন। অপহৃতদের মধ্যে দুইজন তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

অপহরণের ঘটনাটি জানার সাথে সাথে সোমবার সকাল থেকে ওই এলাকায় আলীকদম জোনের সেনা সদস্যরা ও পুলিশের একটি দল অভিযান শুরু করে। সেনা-পুলিশের অভিযানে চাপে পড়ে অপহরণকারীরা তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

কাঠ ব্যবসায়ী কুতুব সওদাগর বলেন, অপহরণকারীরা প্রথমে ৫ লাখ পরে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করলেও শেষ পর্যন্ত সেনা অভিযানের মুখে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

জানতে চাইলে আলীকদম জোনের অধিনায়ক মেজর এসএম মেহেদী হাসান আল আমিন সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, সেনা অভিযানে চাপে পড়ে এমএনপি সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের মুক্তি দেয়। অপহৃতদের উদ্ধার করে জোন সদরে আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, কয়েক ধরে বান্দরবান জেলায় এমএনপির নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আলীকদম-থানচি ও রুমা উপজেলায় এ সংগঠনটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সংগঠনের হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার পেছনে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি বৃহৎ আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দলের ইন্ধন রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।