ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে না ফেরার নির্দেশ জর্ডানের

fec-image

অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল কৃর্তক গাজায় ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানোর প্রতিবাদে প্রথমবারের মতো সরাসরি পদক্ষেপ নিয়েছে জর্ডান। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জর্ডানে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যালয়ে না ফেরার নির্দেশ দিয়েছে জর্ডানের সরকার। একই সঙ্গে ইসরায়েলে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ।

বুধবার (১ নভেম্বর) জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি ইসরায়েলকে নিজেদের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে, নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে জর্ডান ছেড়ে চলে যান ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত।

তিনি ইসরায়েলকে বলেছেন, আমরা না বলা পর্যন্ত ইসরায়েল যেন তাদের দূতকে আর জর্ডানে না পাঠায়। যতদিন গাজায় যুদ্ধ এবং মানবিক বিপর্যয় শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

এর আগে অবরুদ্ধ গাজায় অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। তাছাড়া একই কারণে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় বলিভিয়ার প্রতিবেশী দুটি দেশ চিলি ও কলম্বিয়া। মূলত লাতিন আমেরিকার বামপন্থি দেশগুলো ঐতিহাসিকভাবেই ফিলিস্তিনের পক্ষে।

এদিকে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ইসরায়েলে তেল ও খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এমনকি, ইসরায়েলকে বয়কট করার কথাও বলেছেন তিনি। বুধবার (১ নভেম্বর) একদল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাজা উপত্যকায় ‘বর্বর’ বোমাবর্ষণের প্রতিক্রিয়ায় এসব আহ্বান জানান তিনি।

সাক্ষাৎকারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, গাজায় অবিলম্বে ইসরায়েলের বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে। সেখানে হামাসের সঙ্গে ইসরয়েলের যুদ্ধ নয় বরং সত্যের সঙ্গে খোদাদ্রোহী শক্তির যুদ্ধ চলছে। মুসলিম দেশগুলোর ইহুদিবাদী শাসকদের অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করা উচিত নয়। তাদের কাছে তেল ও খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ২৫ দিন ধরে চলা ইসরায়েলে বিরামহীন হামলায় প্রায় ৯ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু ও প্রায় ২ হাজার ২০০ নারী রয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইসরায়েল, জর্ডান, রাষ্ট্রদূত
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন