উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী খোরশেদের খুঁটির জোর কোথায়?

অভিযোগ

উখিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজার জেলার উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেই চাকুরী করে যাচ্ছে খোরশেদ আলম নামক এক কর্মচারী। শুধু তাই নয়, কেবল মাসের শেষে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে মাসের বেতনও উত্তোলন করছে তিনি। ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে তিনি চাকুরী বিধি লঙ্গন ও এহেন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে ইতিমধ্যে চাকুরী বিধি লঙ্গন ও দাপট দেখিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগে উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে  অভিযোগ জানানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মচারী খোরশেদ আলমকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বদলী করার হয়েছিল। নানা তদবীর করে সেখান থেকে বদলী হয়ে উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগদান করেন তিনি।

উখিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন জানান, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী খোরশেদ আলমের দায়িত্ব হচ্ছে রাত্রিকালীন অফিস পাহারা দেওয়া।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, দাড়োয়ান পদে চাকুরী হলেও খোরশেদের দাপট দেখে মনে হয় অনেক বড় মানের অফিসার। চাকুরীস্থল উখিয়া হলেও তিনি থাকেন কক্সবাজারে। এমনকি কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে তার আসা-যাওয়া। অতি সম্প্রীতি দাড়োয়ান পদের কর্মচারী খোরশেদ আলমের হাতে নাজেহাল হন ঠিকাদার। এই নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সকল ঠিকাদার কর্মচারী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ করে।

এদিকে নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থাকে কি না এ সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে জানা যায়, এ কর্মচারী মাঝে মধ্যে অফিসে আসলেও মাসের বেশির ভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মচারী জানান, অফিসে না আসলেও তার পরিবর্তে নজরুল নামক এক কর্মচারীর ভাইকে দিয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করান তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, কোন অবস্থাতেই বহিরাগত লোক দিয়ে সরকারী চাকুরীরত কর্মস্থলে দায়িত্বপালন করানো যায় না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্মচারী খোরশেদ আলম অনুপস্থিতির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার পিতার অসুস্থতার কারণে তিনি ছুটি নিয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।

তবে অনেকের অভিযোগ তিনি মাসের পর মাস অনিয়মিত অনুপস্থিত থেকে চাকুরী করার খুঁটির জোর কোথায়? উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, কর্মচারী খোরশেদ মাঝে মধ্যে ছুটি নিয়ে অনুপস্থিত থাকে।

সুশীল সমাজের মতে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিম্নস্থরের কর্মচারী হয়েও তার হুংকার ও ধমকি দেখে মনে হয় তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নন। তার বড় গলার জোর কোথায় তা খতিয়ে দেখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবীও জানিয়েছেন তারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন