ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে পাকিস্তান ১ নাম্বারে, ভারত ৪, বাংলাদেশ ৭

fec-image

বিশ্বকাপের আগে আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে এক নাম্বারে উঠে এসেছে পাকিস্তান। তার ঠিক পেছনে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, তারপর ৩ নাম্বারে ভারত। আর সাত নাম্বারে যথারীতি আছে বাংলাদেশ।

আগে বলা হয়েছে পাকিস্তান আফগানিস্তানের মধ্যে তিন ম্যাচ সিরিজ যদি পাকিস্তান জয় লাভ করে তাহলে তারা এক নাম্বারে ওঠে আসবে। এর আগেও তার একবার প্রথম স্থান ওঠে আসে। কিন্তু সেবার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানের আবার পেছনে পড়ে যায়।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে পাকিস্তানের সামনে বড় সমীকরণ ছিল, ৩-০ ব্যবধানে জিতলে তারা ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে যাবে। দ্বিতীয় ম্যাচেই এক নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সমান রেটিংও অর্জন করেছিল বাবর আজমের দল। তবে পয়েন্ট কম থাকায় শেষ ম্যাচও তাদের জিততেই হতো। শেষ পর্যন্ত রশিদ খানদের হোয়াইটওয়াশ করে বিশ্বকাপের আগেই এই ফরম্যাটের শীর্ষস্থান অর্জন করল পাকিস্তান। শাদাব খানের তিন শিকারে আফগানিস্তানকে তারা ৫৯ রানে হারিয়েছে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে আগে ব্যাট করতে নেমে ধীরস্থির শুরু করেছিলেন বাবর-রিজওয়ানরা। অবশ্য এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারই পাকিস্তানকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলেছেন। ঠিক বিপর্যয় নয়, ৫২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল এশিয়া কাপের আয়োজক দেশটি। এরপর অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে সেখান থেকে পাল্টা লড়াই চালান মোহাম্মদ রিজওয়ান।

এর আগে পেসার গুলবাদিন নাইব ফখর জামান (২৭) ও ইমাম উল হককে (১৩) প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে আফগানিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন। পরবর্তীতে দৃঢ়চেতা জুটি গড়েন বাবর-রিজওয়ান। ১১০ রানের সেই জুটি ভাঙে বাবরের বিদায়ে। রশিদ খানের বলে উইকেটের পেছনে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর। তবে তার আগে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তিনি ৪টি চার ও এক ছয়ে ৮৬ বলে ৬০ রান করেন।

এরপরই নড়বড়ে হয়ে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ। দুই উইকেটে ১৬২ রান করা দলটি ১৮৯ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায়। রিজওয়ান ৭৯ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ইনিংসসেরা ৬৭ রান করেন। তবে রিজওয়ানের বিদায়ে শেষদিকে বড় সংগ্রহের শঙ্কা ছিল পাকিস্তানের। সেই শঙ্কা কমিয়ে দেয় আগা সালমান ও মোহাম্মদ নওয়াজের ৬১ রানের জুটি। নওয়াজ ৩০ রানে বিদায় নিলেও ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন আগা। যার ওপর ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে পাকিস্তান ২৬৮ রান সংগ্রহ করে।

আফগানিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন গুলবাদিন ও ফরিদ আহমদ। এছাড়া ফজলহক ফারুকি, রশিদ খান ও মুজিব-উর রহমান একটি করে শিকার করেন।

রান তাড়ায় কিছু সময় পরপর উইকেট হারায় আফগানরা। আগের ম্যাচে দেড়শ রান করা ওপেনার গুরবাজ দলীয় ১৭ রানেই ফিরে যান। ফাহিম আশরাফের বলে এলবিডব্লুউ হওয়ার আগে করেন মাত্র ৫ রান। বাবরের দলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এরপর একশ রান ছোঁয়ার আগেই প্রতিপক্ষ দলটি ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। তখন ধবলধোলাই ঠেকানো দূরে থাক, তারা কেবল হারের ব্যবধান কমানোরই আশা দেখছিল।

এরপর তাণ্ডব চালান স্পিন-অলরাউন্ডার মুজিব। মাত্র ২৬ বলেই তিনি ফিফটি তুলে নিয়েছেন। তার চেয়ে এক বল (২৭) বেশি খেলে এতদিন ওয়ানডেতে আফগান ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটি ছিল রশিদের। যা ভেঙে দিয়েছেন মুজিব। শহিদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৫৭ রানের জুটি গড়েন। তবে শাহীন আফ্রিদির বল ফ্লিক করতে গিয়ে পা লাগে স্টাম্প ভাঙে মুজিবের। হিট আউট হওয়ার আগে তিনি ফরিদের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। ৩৭ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে মুজিবে পাঁচটি করে চার ও ছয়ের বাউন্ডারি খেলেছেন। শহীদুল্লাহ করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন শাদাব। এছাড়া আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ দুটি করে শিকার করেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ওয়ানডে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন