কক্সবাজারে শিক্ষক হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন স্ত্রীর

fec-image

কক্সবাজার পেকুয়ার কলেজ শিক্ষক এসএম ফরহাদ উদ্দিন হত্যা মামলায় আসামি ছালেহ জঙ্গী ওরফে ছোটনকে মৃত্যুদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ বছর এবং স্ত্রী আসমাউল হোসনা লিপিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।

এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী।

তিনি জানান, দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ৪ আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

তারা হলেন, ছালেহ জঙ্গীর ভাই সিরাজুল মোস্তফা, নুরুল আবছার ও তার স্ত্রী শাহেদা বেগম এবং মেয়ে শিরিন জন্নাত আঁখি। এরা সকলেই পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের আব্দুল হামিদ সিকদারপাড়ার বাসিন্দা ও স্বজন।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী জানান, ২০১৫ সালের ৬ মে রাত ৯টায় দিকে মা রাহেলা মুসতারির সামনেই পেকুয়ার সদর ইউনিয়নের আব্দুল হামিদ সিকদারপাড়ায় গুলি করে কুপিয়ে হত্যা করা হয় পেকুয়ার কলেজ শিক্ষক ফরহাদ উদ্দিনকে। ৮ মে ছেলে হত্যার বিচারের জন্য ৬ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা মোহাম্মদ ইউনুছ। একই বছরের ৩ নভেম্বর পেকুয়া থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহীদ উল্লাহ ছালেহ জঙ্গী ও তার স্ত্রী লিপিকে অভিযুক্ত করে এবং বাকি ৪ জনকে মামলার থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে সেই অভিযোগপত্রের মামলার বাদী মোহাম্মদ ইউনুছ নারাজি দেন। পরে ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট এজাহারনামীয় সব আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে কক্সবাজার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।

তিনি জানান, এ মামলার ১৯ জন স্বাক্ষী থাকলেও ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্য প্রমাণ ঘটনায় অন্য ৪ আসামি দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তবে মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা হয়েছে।

মামলার বাদী ও নিহত ফরহাদের বাবা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, রায় শুনে খুশি লাগছে। তবে আমার ছেলে হত্যার ৭ বছরে একজন আসামিও গ্রেফতার হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন