কাউখালীর ঘাগড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি
কাউখালী প্রতিনিধি:
কাউখালীর ঘাগড়ায় বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে লাগা আগুনে পুড়ে গেছে পাঁচটি দোকান ও দুটি বসতঘর। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঘাগড়া বাজারে এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
বৈদ্যুতিক সটসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা।
প্রত্যক্ষদর্শী কাজল মারমা জানান, দুপুর সাড়ে ৩টার সময় ঘাগড়া বাজারের একটি বন্ধ ফার্নিচার দোকান থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। এরপর অল্প সময়ে মধ্যেই আগুন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাৎসরিক মহৎসব থাকায় অনেকগুলি দোকান বন্ধ ছিল। ফলে সে সব দোকান থেকে কোন মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে এলাকার লোকজনের প্রাণপন চেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে রাঙ্গামাটি ও রাঙ্গুনীয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ৪০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনে।
অগ্নিকান্ডে নারায়ন মিত্রর মুদি দোকান, রফিকুল ইসলামের ফার্নিচারের দোকান, তাজুল ইসলামের ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান, শাহাদাৎ হোসেন সামুন ও রিয়াদ হোসেন সুমনের বসত ঘর, ধীমান বড়ুয়ার মোবাইলের দোকান, রফিুকুল ইসলামের ফার্নিচারের দোকান, তাজুল ইসলামের ইলেক্ট্রনিক্স দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হন ব্যবসায়ী নারায়ন মিত্র ও দু’টি বসত ঘরের মালিক সামুন ও সুমন। অগ্নিকান্ডের খবর শুনে ব্যবসায়ী নারায়ন মিত্র গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিক রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া আখতার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কমল বরণ সাহাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতি পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও ১০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। এছাড়া জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র কাউখালী উপজেলার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।