ভিডিও বার্তায় কেএনএ মুখপাত্র ব্রিগ্রে. জে. মুইয়া

কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল

fec-image

অতীতে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি ছিলো তারা অনেক অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এই কাজগুলি বন্ধ করার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা দেশের ক্ষতি চাই না এটা যেন সরকার বুঝে। আমরা সব সময়ই দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদাকে শ্রদ্ধা করি।

কেএনএফ/ কেএনএ আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছি না। যাতে করে দেশের সার্বভৌমত্ব, মর্যাদা ও বাস্তবতা বজায় থাকে সেজন্য আমরা কাজ করছি। মুখোমুখি শান্তি আলোচনা বৈঠক না হওয়ার পর কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি কেএনএ’র মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুইয়া এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।

আজ রবিবার রাত ৯ টার দিকে কেএনএফ’র অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরো বলেন, অতীতে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি ছিলো তারা অনেক অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এই কাজগুলি বন্ধ করার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা দেশের ক্ষতি চাই না এটা যেন সরকার বুঝে। আমরা সব সময়ই দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদাকে শ্রদ্ধা করি। আমি বাংলাদেশ সরকারকে বলতে চাই যে যাতে করে আমাদের দেশের শান্তি বজায় থাকে।

উল্লেখ্য, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা নেতৃত্বে গঠিত শান্তি কমিটির সাথে বেশ কয়েকদফা ভিডিও বৈঠকের পর দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে গত ৫ অক্টোবর রুমায় শান্তি কমিটির সাথে কেএনএ’র সরাসরি মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বৈঠকের স্থান নির্বাচন ও আলোচ্যসূচি নিয়ে মতদ্বৈততা দেখা দেয়ায় উক্ত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে কেএনএ’র তরফ থেকে বিষয়টি পরিস্কার করতে এই ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। স্থানীয় ভাষায় প্রচারিত এই ভিডিও বৈঠকের বঙ্গানুবাদ নিম্নরূপ:

কেএনএফ মুখপাত্র মুইয়া বম এর ভিডিও এর বাংলা অনুবাদ

৬টি জাতিগোষ্ঠীর যারা কেএনএফ এবং কেএনএ নেতৃবৃন্দ সবাইকে ইশ্বরের নামে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গত ৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ কেএনএফ এর সাথে সরকারের সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার কথা ছিলো, তবে অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে বসা সম্ভব হয়নি। সরসারি শান্তি আলোচনায় বসা যদিও সম্ভব হয়নি তারপরও আলোচনায় বসার জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।

শান্তি কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা চেয়ারম্যান, মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, সদস্য সচিব লাল জারলম বম সহ অন্যান্য সদস্য এবং কেএনএফ নেতৃবৃন্দ উভয়পক্ষ মিলে আলোচনায় বসার বিষয়ে চেষ্টা করছি। কুকি চিন ভুক্ত জনগোষ্ঠীকে জানানোর জন্য এই ভিডিও বার্তা উপস্থাপন করেছি। যদিও আমরা শান্তি আলোচনা করার চেষ্টা করছি তারপরও বিভিন্ন ধরনের বাধা বিপত্তি এসেছে। আমাদের জন্মভূমি ও মাতৃভূমির স্বার্থে পিছিয়ে পড়া ৬টি জনগোষ্ঠীর প্রতি সরকারও যেন নজর দেয়।

আমরা চাই যারা শান্তি আলোচনায় বাধা দিচ্ছে সেটা যাতে না হয়। আপনারা বিভিন্ন গুজবে কান দিবেন না প্রকৃত সত্য জানার জন্য কেএনএফ এর বিবৃত অনুসরণ করুন। মাঝে মাঝে আমি নিজেও প্রেস রিলিজ দিব। আপনাদের সকলের প্রার্থনা ও সহযোগিতায় আমরা এতদূর এসেছি এই কথাটা আমি আপনাদের বলতে চাই। কেএনএফ/ কেএনএ আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছি না। যাতে করে দেশের সার্বভৌমত্ব, মর্যাদা ও বাস্তবতা বজায় থাকে সেজন্য আমরা কাজ করছি।

অতীতে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি ছিলো তারা অনেক অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এই কাজগুলি বন্ধ করার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা দেশের ক্ষতি চাই না এটা যেন সরকার বুঝে। আমরা সব সময়ই দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদাকে শ্রদ্ধা করি। আমি বাংলাদেশ সরকারকে বলতে চাই যে যাতে করে আমাদের দেশের শান্তি বজায় থাকে। সাধারণ জনগণকে বলতে চাচ্ছি যে, আপনারা আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন এবং মনে রাখবেন যে কেএনএফ/কেএনএরা দূর্বল না। সর্বক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে আছি। আমার এই কথা বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি ।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি, কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট, কেএনএ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন