খাগড়াছড়িতে এক কলেজ ছাত্রী অপহরণ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি থেকে নুরুন্নাহার আক্তার (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার দুপুরে জেলা শহর থেকে এক অপরিচিত যুবক তাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে অপহৃতের পরিবার।
অপহৃত কলেজ ছাত্রী নুরুন্নাহার আক্তার জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ছোট মেরুং ২নং কলোনীর বাসিন্দা মো. নুরুন্নবীর মেয়ে। সে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে এবারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ হতে অনার্স ১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা যায়।
অপহৃত নুরুন্নাহারের মামা আরশাদ আলী বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত অসুস্থ পিতার জন্য ঔষধ আনতে রবিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে আসে। এর পর থেকেই নিখোঁজ হয় সে। পরে বার বার ফোন দিয়ে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়ায় সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেয়া হয়। তবে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে নুরুন্নাহারের ছোট ভাই ৮ম শ্রেণি পড়ূয়া জহিরুল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ০১৮৮২-৭৫২৭৭২ নাম্বার থেকে ফোন করে তার বোনকে অচেতন করে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জালাল উদ্দিন হৃদয় নামে এক যুবক। এরপর ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। পরে বারবার চেষ্টা করেও ঐ নাম্বারে সংযোগ পাওয়া যায়নি বলে জহিরুল জানায়।
এদিকে ওই যুবককে শুক্রবার দুপুরে অপহৃত নুরুন্নাহার আক্তারের বাড়ীর আশপাশে ঘুরফেরা করতে দেখেছে স্থানীয়রা। আর শুক্রবার বিকেলে নুরুন্নাহারদের বাড়িতে গিয়ে নুরুন্নাহারের মায়ের কাছ থেকে পানি চেয়ে খেয়েছিলো জালাল উদ্দিন হৃদয় নামে ওই যুবক। এ সময় পরিচয় জানতে চাওয়ায় নিজেকে সিআইডি বলে পরিচয় দিয়েছে সে। তবে সন্দেহ হওয়ায় ওই সময় তার ছবিও তুলে রেখেছে নুরুন্নাহারের ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম।
নুরুন্নাহারের মা জুলেখা আক্তার বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই নাম্বার থেকে নুরুন্নাহার নিজে ফোন করে শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে আসা ওই অপরিচিত যুবক অচেতন করে অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যদের নুরুন্নাহার জানায়, তাকে অচেতন করার পর অপহরণ করা হয়। কোথায় রাখা হয়েছে সে জানে না। তবে তাকে তিন তলার একটা ভবনের কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, নুরুন্নাহারের মা জুলেখা বেগম বাদি হয়ে জালাল উদ্দিন নামের এক যুবককে আসামী করে সদর থানায় নারী ও শিশু অপহরণ মামলা দায়েরের করেছে।
যেহেতু ছবি তুলে রাখা হয়েছে, আপনারা সেই ছবিটি কেন ছপেননি