গোঁয়াখালী-টেকপাড়া সড়কে আধা কিলোমিটারে ছয় সাঁকো

পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী-টেকপাড়া সড়কে মাত্র আধা কিলোমিটারের মধ্যে ছয় বাঁশের সাঁকো নির্মিত হয়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘব করতে স্থানীয়রা চলাচলের জন্য ওই সড়কে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৬টি সাঁকো নিমাণ করেছে।

সদর ইউনিয়নের মধ্যে ওই গ্রামীণ সড়কটি চারটি জনবসতি এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক বছর ধরে সংস্কার বঞ্চিত থাকায় দীর্ঘ এক কিলোমিটারের সড়কটির এখন নাজুক অবস্থা। সড়কের পুরো অংশ জুড়ে কাদা ও পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। সড়কটি বর্তমানে ফসলি জমির সাথে মিশে গেছে। এর অস্তিত্ব কোন কোন স্থানে নেই বললেই চলে।

স্থানীয় টেকপাড়া এলাকার কৃষক ফজল করিম, উকিল আহমদ,গুরা বাদশা, বদিউল আলম, পূর্ব গোঁয়াখালী জামে মসজিদের ইমাম মৌলভী মহিউদ্দিন  বলেন, বর্ষার সময় সড়কটি চলাচল অযোগ্য হওয়ায় কোন রকম পায়ে হেটে যাতায়তের জন্য কাদাযুক্ত অংশে তারা পৃথক সাঁকো তৈরি করেছে। অথচ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাফেরা করে থাকে। মাছ ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন জানান, নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ চেয়ারম্যান মেম্বারদের কোন গরজ নেই।

বিলহাসুরা এলাকার আহমদুর রহমান,আশরাফ মিয়া, মনির হোসেন জানিয়েছেন, আমরা বর্তমানে নৌকা নিয়ে চলাচল করছি। গেল বর্ষায় বারবার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এর নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এটি আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। রাস্তার বেহাল দশার কারণে ছাত্ররা স্কুলে যেতে পারছেন না। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে চরম অসুবিধা হচ্ছে। তিন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র এ সড়কটি তারা অবিলম্বে সংস্কার করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

পেকুয়া জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের দশম শ্রেণীর ছাত্রী কলি আক্তার, রাজিয়া সোলতানা, শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন, মো. ইয়াছিনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তায় হাটু পরিমাণ কাদা থাকায় তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কষ্ট করে গেলেও অনেক সময় বই পুস্তক কাদা ও পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।

সদর ইউপি চেয়ারম্যান এম বাহাদুর শাহ এর সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর দ্রুত সংস্কারের জন্য পরিষদ একটি প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে। বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা খাত (এডিপি) এর আওতায় আশা করছি, দ্রুত সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, মাটির দুষ্প্রাপ্যতার কারণে কাজ করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া এটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সুনির্দিষ্ট প্রকল্প। আমি এর দ্রুত সংস্কারের জন্য চেয়ারম্যান সদরকে তাগিদ দিব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন