ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে নাইক্ষ্যংছড়িতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে আমন ফসল ও আগাম শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাসে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের আমন ধান, শীতের আগাম সবজি চাষ, ফলজ, বাগানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। পাকাধান ও আধাপাকা ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় কৃষকেরা এখন দিশেহারা।

উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কৃষক আবুল শামা, জালাল আহমেদসহ আরও অনেকে জানান, এবছর শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষাবাদে অনেক ভালো ফলন হয়েছিল । কিন্ত ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে অধিকাংশ ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলার ৫ ইউনিয়ন, বাইশারী, সোনাইছড়ি, দৌছড়ি, ঘুমধুম ও সদর ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় এর কারণে কৃষকের ক্ষতির পাশাপাশি ৩ দিন যাবৎ বিদ্যুৎ নেই। মানুষের বাড়ি ঘরের রক্ষিত ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।

রাবার বাগান ম্যানেজার আল আমিন জানান, এবারের ঘূর্নিঝড়ে বাগানের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে বৃষ্টির কারণে রাবারের কষ আহরণ বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতি হয়েছে।

সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যনিং মারমা জানান, ফসলসহ আগাম সবজি ও বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার জানান, ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছ। তবে এলাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেনি।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি বলেন, আমার এলাকায় আগাম সবজি ক্ষেত, ফলজ বাগান, রবি শষ্যের প্রচুর পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে পাহাড় ধসে কোন ধরনের ক্ষতি হয়নি।

বাইশারী সদরের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল আলম বলেন, তিনি সরজমিনে পরিদর্শন করেছন এবং কৃষকদের মাঝে পরামর্শ দিয়েছেন। কিছু পাকা ধান মাটিতে পড়ে গিয়ে আংশিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তাড়াতাড়ি পাকা ধানগুলো কেটে ফেললে তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনামুল হক জানান, বর্তমানে উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ বর্তমানে মাঠে রয়েছেন, ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে কৃষকদের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। আংশিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি, হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আসার আগেই প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড়, নাইক্ষ্যংছড়ি, ফসল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন