জাপানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০, নিখোঁজ প্রায় দুই শতাধিক

fec-image

জাপানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জনে পৌঁছেছে। এখনও অন্তত ২১১ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানি কর্তৃপক্ষ।

শনিবার মধ্য জাপানের নোটো উপদ্বীপে এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে নববর্ষের দিনে আঘাত হানে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প।

রোবাবর পর্যন্ত ওই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের খোঁজ করছেন। খবর জাপান টাইমসের

খবরে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ওয়াজিমা শহরের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে- প্রায় ১০০টি জায়গা আছে যেখানে মানুষ এখনও ধ্বংস হওয়া ভবনের নিচে আটকে আছে এবং উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তার অফিসে দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া সদর দফতরের একটি বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তাদের যতটা সম্ভব প্রাণ বাঁচাতে দৃঢ়তার সাথে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইশিকাওয়াতে ভূমিকম্পে রাস্তার ক্ষতির কারণে কর্তৃপক্ষ এখনও ত্রাণ সরবরাহ করতে সংগ্রাম করছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ৩১ হাজারের বেশি লোককে ৩৫৭ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে পানির সংকট এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

ইশিকাওয়া প্রিফেকচারাল সরকার দুর্দশাগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য অস্থায়ী বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। শনিবার সকালে জাপানের ভূমিকম্পের তীব্রতা স্কেলে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পসহ নোটো অঞ্চলে আফটারশক অব্যাহত রয়েছে।

ভূমিকম্পের পর ওয়াজিমায় একটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে শত শত স্থাপনা এবং একটি সাততলা ভবন ধ্বংস হয়েছে।

ইশিকাওয়া অঞ্চলে প্রায় ২৩,৮০০টি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন ছিল এবং ৬৬,৪০০টিরও বেশি পরিবারের কাছে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যুৎ এবং পানি বিভ্রাট বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যত্ন নেওয়ার জন্য হাসপাতাল এবং সুবিধাগুলোতেও ভিড় বেড়েছে।

গভর্নর হিরোশি হাস শুক্রবার বলেছেন, ‘আমরা বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তবে বাস্তবতা হলো- সেখানে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

দেশটিতে ২০১১ সালের মার্চ মাসে সমুদ্রের তলদেশে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ফলে আছড়ে পড়ে বিশাল সুনামি। এতে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানে। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই দেশটিতে বেশি ভূমিকম্প হয়। দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে দুই হাজারের মতো ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। ভূমিকম্পগুলোর অধিকাংশই ক্ষীণ হয়ে থাকে। তবে দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পকের অনেক রেকর্ড রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: জাপান, নিহত, ভূমিকম্প
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন