জেএসএস সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনজীবনকে দূর্বিসহ করে তুলেছে- আওয়ামী লীগ
স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানসহ পার্বত্য জেলায় যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও র্যাব ইউনিট স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরকে অভিযুক্ত করে সম্প্রতি জনসংহতি সমিতি প্রকাশিত বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আযোজন করা হয়।
জেলা কমিটির সহ-সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এসময় সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক চাঁদাবাজি, হত্যা, গুম, ধর্ষন ও অপহরণের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনজীবনকে দুর্বিষসহ করে তুলেছে। তবে সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা পরিস্থিতিকে আরো অসহনীয় করে তুলেছেন। নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় গত ১৩ জুন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মং পু মারমাকে অপহরণ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। মংপু মারমাকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেবার দাবী জানান।
অন্যথায় আবারো কঠিন কর্মসূচীর ঘোষণা দেবেন বলে হুঁশিয়ারী দেন। গত প্রায় এক মাসেও তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি।
আওয়ামী লীগ আরো অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে ঘরছাড়া হয়েছেন আরো অর্ধ শতাধিক তৃণমুল নেতাকর্মী। হত্যার হুমকি পেয়েছে আরো ৩৩ জন জেলা-উপজেলা নেতা কর্মী। এ অবস্থায় চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের দখলে চলে যাবে। যে কোন প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, মংপু মার্মা উদ্ধার না হওয়া সেনা ও পুলিশ প্রশাসনের ব্যার্থতা। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের পাড়ায় পাড়ায় চাঁদা আদায় বন্ধ ও সন্ত্রাস দমন কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা রোয়াংছড়ি ও বান্দরবান সদর উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ী অধ্যাষিত পাড়াগুরোতে জেএসএস অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গন জনমত গড়ে তুলতে সভা সমাবেশ করছেন বলে সূত্র জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত না থাকলে মামলা দায়েরের আগেই জনসংহতি সমিতির নেতৃবিন্দ কেন গা ঢাকা দিয়েছেন সে প্রশ্ন তোলে আওয়ামীলীগ নেতরা।