টেকনাফে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, জাল টাকা ও মাদক বিক্রির টাকাসহ আটক ২

fec-image

কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার খানকার ডেইল এলাকায় বসত-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯৫ হাজার ইয়াবা, ৮৬ হাজার জাল টাকা ও ইয়াবা বিক্রয়ের ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকাসহ রোহিঙ্গা ইয়াবা সম্রাজ্ঞী ফাতেমা ও তার এক সহযোগীকে আটক করেছে র‍্যাব ১৫ এর সদস্যরা।

কক্সবাজার র‍্যাব ১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ পৌর এলাকার খানকার ডেইল এলাকায় অবস্থিত বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ইয়াবা সম্রাজ্ঞী নামে পরিচিত ও দেশব্যাপী ইয়াবা সাপ্লায়ার রোহিঙ্গা তরুণী কানিজ ফাতেমা(৩১)কে আটক করা হয়। এ সময় তার অন্যতম সহযোগী এবং সম্পর্কে তার দেবর নাছির উদ্দিন পিন্টু (২৯) র‍্যাব কর্তৃক ধৃত হলেও পালিয়ে যান অপর তিন সহযোগী জয়নাল আবেদীন(৩৭), আব্দুল আজিজ(৩১) ও মোহাম্মদ আয়াছ(২৫)।

গ্রেফতারের পর ফাতেমা ও পিন্টুর স্বীকারোক্তিমতে তাদের হেফাজত থেকে মোট ৯৫ হাজার ৬৭০ পিস নিষিদ্ধ ঘোষিত ইয়াবা ও ৮৬ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রয়ের মাধ্যমে আয়কৃত সর্বমোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকাওজব্দ করা হয়। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান দেশে আনার অন্যতম প্রধান কুশীলব রোহিঙ্গা তরুণী ফাতেমা ও তার স্বামী জয়নাল। ইয়াবা কারবারের পাশাপাশি চলতো তাদের জাল টাকার রমরমা ব্যবসাও। দীর্ঘদিন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও সুকৌশলী ফাতেমা বরাবরই ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফাতেমা, পিন্টুসহ পলাতক ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে ইয়াবা পাইকারি কেনাবেচার উদ্দেশ্যে জড়ো হলে র‍্যাব সেখানে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে। এ সময় অন্য তিনজন র‍্যাবের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে দৌড়ে পালিয়ে যান।

আটককৃত আসামি টেকনাফ পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড খানকার ডেইলের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী ফাতেমা (রোহিঙ্গা) ও আটক ইমাম হোসেনের ছেলে এবং ফাতেমার দেবর নাছির উদ্দিন পিন্টুর ভাই জয়নাল আবেদীন পলাতক রয়েছে।

এসময় ওই এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন, মকতুল হোছনের ছেলে আব্দুল আজিজ, আজিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আয়াছ পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ইয়াবা ও জাল টাকার কারবারের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

তিনি আরো জানান, আটক ও পলাতক ৫ আসামির বিরুদ্ধে র‍্যাব বাদী হয়ে ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য আইনের ৩৬(১) এর সারণির ১০(গ) ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(ক) ধারায় মামলা দায়েরপূর্বক পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তাদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াবা, জাল টাকা, টেকনাফ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন