টেকনাফ কলেজের অধ্যাপক শামসুর আলমের জানাযায় শোর্কাত মানুষের ঢল

01-11-201dsfsdf4_1

টেকনাফ প্রতিনিধি : 

প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর শামশুল আলমের জানাযা শনিবার আছরের নামাজের পরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজ শিক্ষক শমসু স্যারকে এক নজরে দেখতে শিক্ষক-ছাত্র ও সর্বশ্রেণির মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় পশ্চিম মহেশখালীয়াপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাযায় শোকার্ত মানুষের রীতিমত ঢল নামে। জানাযা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

জানাযা পুর্ব আলোচনা অংশগ্রহণ করেন সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রফিক উদ্দিন, হোয়াইক্যং মডেল ইউপির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এইচ.এম. ইউনুছ বাঙ্গালী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষক অধ্যাপক আমির হোছাইন, কক্সবাজার জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল চৌধুরী মুসা, জমিয়াতুল মোদারেচ্ছীনের জেলা সভাপতি ও রঙ্গিখালী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামাল হোছাইন, অধ্যাপক নবী হোছাইন, অধ্যাপক সিরাজুল হক সিরাজ, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ও মরহুমের বড় ছেলে তানভীর ইসলাম প্রমূখ।

জানাযায় শরিক হয়েছিলো শিক্ষক, মরহুমের সহকর্মী, সহপাঠি, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, ব্যাংক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, ছাত্রসহ সর্ব পেশার লোকজন। জানাযায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তিল পরিমাণ ঠাঁই ছিল না।

উল্লেখ্য ৩১ অক্টোবর দুপুরে হোয়াইক্যংয়ের মহেশখালীয়া পাড়ার চিহ্নিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী স্থানীয় গোলাম সুলতানের পুত্র মালেক, শব্বির আহমদের পুত্র জালাল ও মৃত মুঃ ইলিয়াছের পুত্র মহি উদ্দিনের নেতৃত্বে সাঙ্গপাঙ্গরা টেকনাফের ছাত্র সমাজের শমসুল আলমের উপর বর্বর হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত পৌনে ৯টার দিকে ঈদগাহ এলাকায় পৌঁছলে তিনি ইন্তেকাল করেন।

এদিকে প্রফেসর শমসু নিহতের ঘটনায় পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কলেজ শিক্ষক নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় সর্বত্রে তোলপাড় চলছে। টেকনাফের শিক্ষক সমাজ সহ সর্বস্তরের মানুষ চিহ্নিত খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়াপাড়ায় মৃত হাজ্বী ফজল করিমের সুযোগ্য পুত্র শামসুল আলম শিক্ষাজীবনে ১৯৮৫ সনে টেকনাফের ঐতিহ্যবাহী রঙ্গিখালী মাদ্রাসা থেকে দাখিল, ৮৭ সনে আলিম, ৮৯ সনে ফাজিল পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেন। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৯৪ ইংরেজি সনে টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে আমৃত্যু দক্ষতা ও সুনামের সহিত অধ্যাপনা করেন। তিনি একজন একেধারে আর্দশ কলেজ শিক্ষক, ১ম শ্রেণির সফল টিকাদার ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে পুরো উপজেলায় সুনাম রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন