দীঘিনালায় বেড়ে চলেছে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ

fec-image

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বেড়ে চলেছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। পরিবেশ বিনষ্টকারী তামাক চাষ ছেড়ে অনেকেই রবি ফসল সূর্যমুখী ফুল চাষ শুরু করেছেন। সূর্যমুখী ফুল চাষ সামান্য পরিচর্যা এবং যেকোনো জমিতে ভালো উৎপাদন হয় বলেই দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তাছাড়া জ্বালানি হিসেবে ব্যাপক ভূমিকা রাখে সূর্যমুখী গাছ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে দীঘিনালা উপজেলায় সাড়ে পাঁচ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে পরিচর্যা কম এবং রোগ বালাই কম বিধায় অধিক লাভবান হওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকূলে হলে এক বিঘা জমি থেকে ৮ থেকে ১০ মণ বীজ পাওয়াা যাবে এবং প্রতি মণ বীজ থেকে ১৭-২০ কেজি তেল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

তামাক চাষ ছেড়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন, দীঘিনালা উপজেলার মাস্টার পাড়া গ্রামের রসু চাকমা (৫৫)।

তিনি জানান, আগে ১০-১২ বছর তামাক চাষ করেছি। তামাক চাষ এক দিকে স্বাস্থ্যের ক্ষতি অন্যদিকে প্রচুর কাঠ পুড়ানোর কারণে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে। এছাড়া তামাক জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট করে। তামাক পাতা প্রক্রিয়াকরণে চুল্লীর ধোয়ায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে, তাই তামাক চাষ ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি আরো জানান, আমি ৬০ শতক জমিতে এবার সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি, এখন সবগুলি গাছে ফুল এসেছে। তামাক চাষে কোন দর্শনার্থী ক্ষেতে জায়নি। এখন প্রতিদিন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে দর্শনার্থীরা আসছে। এতে্ খুব আনন্দ লাগে।

দীঘিনালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জানান, সবচেয়ে দামি ফসল হচ্ছে সয়াবিন এবং সূর্যমুখী। দীঘিনালায় প্রণোদনার মাধ্যমে ইতিমধ্যে সূর্যমুখী চাষ শুরু করেছি। লাভজনক এ চাষে কৃষকরা তামাক ছেড়ে সূর্যমুখী চাষে ফিরে আসবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: দীঘিনালা, সূর্যমুখী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন