দেশপ্রেমী রশিদা ফিরতে চান

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

ছুরা খাতুন রশিদা, বয়স পঞ্চাশোর্ধ। বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে। সম্প্রতি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয়দের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। কিন্তু এখনও নিজের জন্মভূমিকে ভালোবেসে হৃদয়ে ধারণ করছেন তিনি। পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে এলে ফিরে যেতে চান নিজ বাসভূমে-জন্মভূমিতে।

তাই রাখাইন থেকে আসা নারী-পুরুষকে সংগঠিত করছিলেন তিনি। কিন্তু তার এই দেশপ্রেমে বিরক্ত স্ব-গোত্রীয় লোকজন। ক্ষোভে ও রাগে তাকে মারধরও করেছেন রোহিঙ্গা নাগরিকরা।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত রশিদা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের তাদের নিজভূমি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। রোহিঙ্গাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ তাদের দেশ নয়, এই দেশে তাদের বাপ-দাদার কোনো অস্তিত্ব নেই।

‘তাদের (রোহিঙ্গা) চৌদ্দ পুরুষের জন্ম ঠিকানা হচ্ছে মিয়ানমারে। তাদের পূর্ব পুরুষদের কবর রয়েছে মিয়ানমারে। অং সান সু চির বাবার সঙ্গে রোহিঙ্গারাও রাজনীতি করেছে, সু চির বাবার সঙ্গে রোহিঙ্গারাও প্রাণ দিয়েছে। তাদের অধিকার স্বাধিকার আর জন্মভূমি হচ্ছে মিয়ানমারে। মিয়ানমারের পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।

এখন সবাইকে মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। পরদেশে মানুষের দয়া নিয়ে আর থাকা ভালো হবে না।’
এসব কথা বলেই শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে উদ্ধুদ্ধ করছিলেন রশিদা। এমনকি গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়া জর্ডানের রানিকেও ‘মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই’ এমন কথা জানান তিনি। আর দেশপ্রেমী নারী রশিদার এমন আচরণে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে ক্যাম্পের অন্যান্য রোহিঙ্গা, যারা মিয়ানমারে যেতে চাইছে না।

ক্ষুব্দ হয়ে এসব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গত সোমবার রশিদাকে মারধর করে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা বাংলাদেশে  স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চায়। এই দেশকে তাদের দেশ বানাতে চায়। এ জন্য তারা কাজ করছে।

‘কুতুপালং রেজি. ক্যাম্পের বি ব্লকের শুক্কুর আলী, আবদুল রকিম, আবদুল মোতালেব, হোসেন আলীসহ আরও অনেকে আমাকে মারধর করে। মাস্টার কবির নামে একজন মালয়েশিয়া থেকে হুমকি দিচ্ছে, যাতে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা না বলি,

 

সূত্র: বাংলানিউজ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন