দেশে পুলিশের প্রথম কমান্ডো ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন হচ্ছে খাগড়াছড়িতে
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
আগামী শুক্রবার দুই দিনের সফরে খাগড়াছড়ি আসছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল(আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। খাগড়াছড়ি অবস্থানকালে তিনি খাগড়াছড়ি এপিবিএন ষ্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারের কার্যক্রমসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও কমিউনিটি পুলিশ সমাবেশে যোগ দিবেন।
পুলিশের একটি সূত্র পার্বত্যনিউজকে জানায়, শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল(আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক সড়ক পথে খাগড়াছড়ি আসবেন। ঐদিন দুপুর ১টায় জেলার মহালছড়িতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উদ্বোধন করবেন। বিকাল খাগড়াছড়ি নতুন পুলিশ লাইন্সে কমিউনিটি পুলিশ সমাবেশে যোগ দিবেন।
শনিবার সকাল ৯টায় খাগড়াছড়ি পুরাতন পুলিশ লাইন্স স্কুলে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন ও পুলিশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ি এপিবিএন ষ্পেশালাইজড ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশ কমান্ডো ট্রেনিং (পিসিসি) উদ্বোধন করবেন।
এদিকে পুলিশ প্রধানের খাগড়াছড়ি সফরকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির পুলিশ সদস্যরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
একটি সূত্র জানায়, এটাই হবে বাংলাদেশ পুলিশে কমান্ডো ফোর্স তৈরির প্রথম কার্যক্রম। এর আগে কঠোর প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে সাধারণত সশস্ত্র বাহিনীতে কমান্ডো বা প্যারাকমান্ডো তৈরি করা হতো।
সূত্র মতে, দেশে বড় ধরনের জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলা কিংবা আপদকালীন যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নিয়মিতভাবে কমান্ডো প্রশিক্ষণের (ট্রেনিং) অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এখানে কমান্ডো প্রশিক্ষণের ‘স্ট্যান্ডার্ড’ বজায় রাখা হবে।
সূত্রটি আরও জানায়, সাম্প্রতিক গুলশানের হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলাসহ সশস্ত্র জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনীর সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্যে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামসহ সব ধরনের ‘লজিস্টিক সাপোর্ট’ দিয়ে পুলিশের কমান্ডো ফোর্সকে সুসজ্জিত করা হবে। যাতে তারা যে কোনো সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।
সূত্র মতে, গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ভারতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ৪০ সদস্য কমান্ডো প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে এক নারী সহকারী পুলিশ সুপারসহ পাঁচ নারী পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এখন প্রশিক্ষিত ঐ সদস্যরা অন্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা কমান্ডো ট্রেনিংয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিএমপি’র বিশেষায়িত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াতসহ বিভিন্ন টিমের অভিজ্ঞ চৌকস অফিসাররা এ কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেবেন।