নাইক্ষ্যংছড়ি বিএনপির নব গঠিত কমিটিতে নতুনদের অবমূল্যায়নে তৃণমূলে হতাশা

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দলের প্রতি আনুগত্যশীল, আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় ও তরুণদের টার্গেট করে বিএনপির পুনর্গঠন করার কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নতুনদের যথাযথ মূল্যয়ান না করে বির্তকে জড়িয়ে পড়লেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপি। দলের কাউন্সিল নিয়ে নেতাকর্মীরা গত কয়েক সপ্তাহ উৎফুল্ল মেজাজে থাকলেও শেষ পর্যন্ত নব গঠিত কমিটি মানতে পারছেনা দু:সময়ের নেতাকর্মীরা। অনুমোদনের জন্য প্রেরিত কমিটিতে যথাযথ মূল্যয়ন না হওয়ায় অনেক নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিএনপির ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের পেছনে ফেলে কমিটির নেপথ্যে থাকা নেতাদের আস্থা কুড়িয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন অনেক বির্তকিত ব্যাক্তি। যার কারণে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।

বিগত দিন রাজপথে যারা হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, তেমনি ছাত্রদল ও যুবদলের ত্যাগী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, জীবনে কখনো বিএনপির রাজনীতিতে দেখা না গেলেও অদৃশ্য ক্ষমতায় হুট করে এসে ছাত্রলীগ কর্মী থেকে মূল দলে স্থান করে নিয়েছে। এছাড়াও ব্যাক্তি বিশেষের পছন্দের রাবার বাগান শ্রমিককে ডেকে এনে মূল দলের সদস্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। অথচ দলের দু:সময়ে পুরো দলকে টিকিয়ে রাখা ছাত্রদলের তিন প্রভাবশালী সদস্যকে করা হয়েছে সদস্য মাত্র।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি আবু সুফিয়ান চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আবছার সোহেল, খোকন আকবর, জিয়াবুল হকসহ একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন এতে তাদের মনে কোন দু:খ নেই। কিন্তু যখন মাঠ পর্যায়ের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বিএনপির কমিটি নিয়ে মন্তব্য করেন তখন তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাই রাজপথে দলের কার্যক্রম গতিশীল করতে হলে বাদ পড়াদের পুন: মূল্যায়ন করতে হবে।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ির বৃহত্তর চাকঢালা এলাকার ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম, বিছামারা এলাকার ইউপি সদস্য আলী আহামদ, হামলা ও মামলার শিকার ফকির আহামদসহ অনেক ত্যাগী জনপ্রতিনিধিদের রাখা হয়নি উপজেলা বিএনপির কমিটিতে।

উল্লেখ্য, ত্যাগী, যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাদের কমিটিতে স্থান দেওয়ার কঠোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিএনপির হাইকমান্ড। শুধু তাই নয়, ত্যাগী যোগ্যদের নেতৃত্বে এনে ফাঁকিবাজদের পেছনের সারিতে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাইকমান্ডের নির্দেশনা মানা হয়নি। যার কারণে সচেতন বিএনপি সমর্থকদের মাঝে নতুনদের স্থান দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির নব গঠিত কমিটির সভাপতি নুরুল আলম কোম্পানী বলেন, ‘নব গঠিত উপজেলা বিএনপির কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়েছে। তারপরও কেউ বাদ পড়লে তা বিবেচনা করা হবে।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন