নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আইসিসির
আবুধাবি টি-টেন লিগ চলাকালে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দুর্নীতিবিরোধী কোড ভঙ্গের কারণে তাদের তরফ থেকে আটজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিট। সেই তালিকায় আছেন এক সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা অলরাউন্ডার নাসির হোসেন।
মঙ্গেলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে পুনে ডেভিলসের অধিনায়ক ছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। তবে, টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বাজে খেলেছিল নাসির হোসেনের নেতৃত্বাধীন দলটিই। গ্রুপ পর্বের ৬ ম্যাচে ২ জয়ে ৮ দলের মধ্যে তারা হয়েছিল অষ্টম।
টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর থেকেই সম্ভাব্য বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আইসিসি। শেষ পর্যন্ত আট ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তারা কিছু দুর্নীতির প্রমাণ বের করতে পেরেছে। যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার নাসির হোসেন।
আইসিসি এক বার্তায় জানিয়েছে, আইসিসি ইসিবির পক্ষে খেলোয়াড় ও অফিসিয়াল মিলিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগুলো হলো:
২.৪.৩ ধারায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোন প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কিনা, তাকে কোনোভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কিনা তা পরিষ্কার করে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৬ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, তিনি সম্ভাব্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বা তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় নাসির ছাড়াও অভিযুক্তরা হলেন দলটির সহকারী দুই মালিক ক্রিশান কুমার চৌধুরি, পরাগ সাংভি, ব্যাটিং কোচ আসহার জাইদি, স্থানীয় খেলোয়াড় রিজওয়ান জাভেদ, সহকারী কোচ সিলিয়া সামান ও দলের ম্যানেজার শাদাব আহমেদ।
তবে এই আট অভিযুক্ত ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, তা এখনো জানায়নি আইসিসি।