পার্বত্যনিউজে সংবাদ প্রকাশের পর এলজিইডির রাস্তা প্রশস্ত করণের কাজে পাল্টে গেল রোলার
বান্দরবানের মাঝের পাড়া টংকাবতী সড়ক পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তার প্রশস্তকরনের কাজে “পাহাড় কেটে রাস্তা সম্প্রসারন করছে বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এ সংবাদটি পার্বত্য নিউজে প্রকাশিত হবার পরপরই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে সংবাদটি। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে নির্দেশ দিলে পাল্টে ফেলা হয় ৮৫০কেজির সেই রোলার। পাহাড়ের মাটির পরিবর্তে রাস্তায় ব্যবহার করা হয় বালু।
জানাযায়, ৩ কোটি ৫১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮৯টাকা ও ৪ কোটি ৫১ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৭টাকা ব্যয়ে মেসার্স মারমা এন্টারপ্রাইজ ও কিউসি (জেবি) এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে ২প্যাকেজে রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারনের কাজটি করছে ঠিকাদার রুবেল।
এর আগে গত ৮ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ” বান্দরবানে সড়কে বালুর পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি দিচ্ছে এলজিইডি” এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে গেলে তাৎক্ষণিক রোলার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। এছাড়া পাহাড়ের মাটির পরিবর্তে বালু ব্যবহারের নির্দেশও দেন কর্মকর্তারা।
আর ইতিমধ্যেই চলমান সড়কের এ দুটি কাজে বালুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে পাহাড়ের মাটি। এছাড়া নিম্নমানের ইটের মেগাডম (কংকর) ব্যবহারসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এ কাজে।
ঠিকাদার রুবেল জানায়, ছোট রোলারটি রাস্তার তিন ফিট ওয়াইডেনিং কাজের জন্য আনা হয়েছিল। মেগাডম চাপ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে বড় মাপের রোলার আনা হয়েছে। বর্তমানে বড় রোলার দিয়েই কাজ চলছে। বালুর মানও বর্তমানে অত্যান্ত ভাল।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর রোলার পাল্টে ফেলা ও বালু ব্যবহারের ফলে স্থানীয়রাও খুশি। স্থানীয়রা পার্বত্য নিউজ এর পরিবারকে সংবাদ প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বান্দরবান এলজিইডির এসও মো. নাহিদ বলেন, পার্বত্য নিউজে সংবাদ প্রকাশিত হবার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছোট রোলার সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে বড় দিয়েই কাজ চলছে। বালুর মানও এখন অনেক ভাল।