পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে খুনিদের দায়মুক্তি দেয়া জাতির জন্য এক কলঙ্কিত অধ্যায়- পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ

পার্বত্য বাঙালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

“লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ’৭১ এ বংলার দামাল ছেলেরা নরপশু পাকদের পরাস্তপূর্বক এদেশ থেকে বিতাড়িত করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু স্বাধীন বাংলায় রয়ে গেল পাকদের প্রেতাত্মা রাজাকার, আলবদর, আলসামস। ওরা নতুন করে সংগঠিত হয়ে বাংলাকে গ্রাস করার নতুনভাবে পরিকল্পনা করে। স্বাধীন বাংলার পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন দেয়ার দাবী তুলে। নিমর্মভাবে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালী জনগনের উপর। উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা একের পর এক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়ে বাঙ্গালীর জনমনে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে থাকে।

৩১ মে ১৯৮৪ সালে পরিকল্পিতভাবে শান্তি বাহিনীর তৎকালীন মেজর রাজেশ ওরফে মনিস্বপন দেওয়ানের নেতৃত্বে ভূষণছড়ায় সংঘটিত করে লোমহর্ষক গণহত্যা। হত্যা করে একসাথে ৫৩৫ জন বাঙালীকে।

এ গণহত্যার ৩২ বছর পূর্ণ হলেও হত্যা মামলাটি এখনো আলোর মূখ দেখেনি। কারণ ’৯৭ এর তৎকালীন সরকার পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে খুনিদেরকে দায়মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরষ্কৃত করেছে। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সেই দেশদ্রোহী, খুনী মনিস্বপনকে বিএনপি দল থেকে মনোনয়ন দিয়ে এমপি, মন্ত্রী বানিয়ে পার্বত্য জনগনের সাথে চরমভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। যা বিএনপি নেতৃবৃন্দের লজ্জাহীন মন মানসিকতার পরিচয় বহন করে। যার ফলে অধরা খুনিরা আরো উৎসাহিত হয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাঙ্গালীদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে।

এতে সরকারের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহীনির আচরণে পার্বত্য বাঙ্গালী জনগনকে উপজাতি সন্ত্রাসীদের বলির পাঠায় পরিণত করেছে।

অাজ ৩১/০৫/২০১৬ রোজ মঙ্গলবার সকাল ৯.০০ ঘটিকার সময় রিজার্ভ বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ কর্তৃক ৩২তম ভূষণছড়া গনহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক শোক সভায় বক্তারা এই দাবী জানান।

সংগঠনের জেলা সভাপতি উজ্জল পালের সভাপতিত্বে উক্ত সভা পরিচালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মুন্না তালুকদার। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা মোঃ সোহেল, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ জহিরুল ইসলাম, ইব্রাহিম সুজন, মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য বাঙ্গালী জনগনের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার আন্তরিক নয়। তাই বাঙ্গালীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশ রক্ষায় আত্মপ্রত্যয়ী হতে হবে।

পরিশেষে সভার উপস্থিতিবৃন্দ ভূষণছড়ায় শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালনপূর্বক শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন”।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন