পেকুয়ায় প্রবাসির টাকা মেরে এক ব্যক্তির বিদেশ পালানোর চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়ায় প্রবাসির টাকা মেরে এক ব্যক্তির বিদেশ পালানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চেক প্রতারনার মাধ্যমে কৌশলে লিবিয়া প্রবাসির কাছ থেকে ৮লাখ ৩০হাজার টাকা আত্মসাত করেছে ওই ব্যক্তি। এসময় প্রবাসির টাকা আত্মসাত করতে মিথ্যার আশ্রয় নেয় ওই ব্যক্তি। ওই সময় টাকা গায়েব করার কুমানসে ওই ব্যক্তি প্রবাসিকে ব্যাংক একাউন্টের চেক প্রদান করে। পরে ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করলে চেকের অনুকুলে টাকা তার হিসাবে জমা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই চেকটিকে ডিজনার করে।
এদিকে এবিষয়ে টাকা উদ্ধারের জন্য প্রবাসি তার পাওনাদারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার সি.আর নং-৪২/১৬। বিষয়টি এখনো শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে বদিউদ্দিন পাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি একই ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকার শাহাব উদ্দিনের ছেলে নুরশেদুল ইসলাম। জানা গেছে, টাকা আদায়ের জন্য ১৮৮১সালের নেগোশিয়েবল ইন্সষ্ট্রমেন্ট এ্যাক্টের ১৩৮ধারা মতে বাদি গত ১০জানুয়ারী ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাসুত্রে জানা যায়, নুরশেদুল ইসলামের সাথে লিবিয়া প্রবাসি দিদারুল ইসলামের মধ্যে পুর্ব থেকে ঘনিষ্টতা ছিল। এ সুবাধে নুরশেদ ব্যবসার পুঁজির কথা বলে প্রবাসির কাছ থেকে নগদ ৮লাখ ৩০হাজার টাকা ধার নেয়। শর্তমতে টাকা ফেরতের সময় সীমা শেষ হলে প্রবাসি তার ধার দেয়া টাকা ফেরত চাই নুরশেদুল ইসলামের কাছ থেকে। এ সময় নুরশেদ ফাষ্ট সিকিউরিটি ব্যাংক পেকুয়া শাখার ০০১২২০০০০০৭৬৪ হিসাব নং থেকে গত বছরের ১০নভেম্বর ৭৮১০২৭১ নং চেক বাদীকে প্রদান করে। চেকে সমুদয় টাকা উত্তোলনের জন্য লিখে দেন। ওই টাকা উত্তোলনের জন্য দিদার ব্যাংকে যান
। সেখানে নুরশেদের চেকের অনুকুলে টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই চেকটি ডিজঅনার করেন। পরবর্তীতে ওই চেকটি নিয়ে প্রবাসি দিদার একই ব্যাংক জুবলী রোড চট্টগ্রাম শাখায় যান। গত ১০নভেম্বর ব্যাংক চেকটি ডিজঅনার করেন। এমতাবস্থায় ওই প্রবাসি চরম প্রতারিত হয়ে তার প্রদত্ত ৮লাখ ৩০হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য নুরশেদকে চাপ প্রয়োগ করেন।