পেকুয়ায় হামলায় গৃহবধু আহত : সরকারী কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক গৃহবধূ গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় সরকারী কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গত ৮ নভেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আদর্শ পাড়া গ্রামের নুরুল হোছাইনের পুত্র এসএম এরশাদ। যার মামলা নং ৯৯৯/১৫। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ আলমকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বাদী এসএম এরশাদ উল্লেখ করেছেন, গত মাসের ১৮ অক্টোবর বিকালে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের পুত্র ও পেকুয়া উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আক্তার আহামদ, তার স্ত্রী ছালেহা বেগম ও ছেলে এহতেশামুল হক রেজার নেতৃত্বে একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশন্ত্র নিয়ে তার মা জুহুরা বেগম (৫০) এর উপর হামলা করে। এসময় হামলাকারীরা জুহুরা বেগমের পুত্র এসএম এরশাদের কাছ থেকে তিনশত টাকা মূল্যমানের ননজুডিশিয়াল স্টম্পে জোরপূর্বক দস্তখত নেন এবং ১ভরি স্বর্ণ যাহার মূল্য ৪০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।

মামলার অভিযোগে বাদী এসএম এরশাদ আরো উল্লেখ করেছেন, আকতার আহমদ দেড় গন্ডা জমি তাদের কাছে বিক্রি করার নামে গত ২০/০৫/১৫ইংরেজী তারিখে ৬লাখ টাকা নগদে গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে জায়গা বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করে আকতার আহমদ ৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানায় এরশাদের পরিবারকে। ঘটনারদিন টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে এরশাদ তার মাকে আকতার আহমদ তার বাড়ীর সামনে নিয়ে যান। পরে অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশন্ত্র নিয়ে এরশাদের মায়ের উপর হামলা করে। এদিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জুহুরা বেগমকে প্রথমে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

অভিযোগের ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা হিসার রক্ষণ কর্মকর্তা আকতার আহমদের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য যে, ওই সরকারী কর্মকতার বাসভবনে গত মাসে জামায়াত-শিবিরের গোপন বৈঠকে নিয়ে জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর বিষয়টির গুরুত্ব সহকারে তদন্তে নামেন সরকারী একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন