বরখাস্ত হওয়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিক বহালতবিয়তে

জমির উদ্দিন:

১/১১ এর পর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে চাকুরীকালীন সময়ে দূর্নীতির দায়ে দুদকের কাছে আটক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলাম এখানো বহাল তবিয়তে সদর উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে কর্মরত আছেন। দূর্নীতির দায়ে আবারো অভিযুক্ত হয়ে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হবার পরও বহাল তবিয়তে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে দায়ীত্ব পালন করে যাচ্ছেন সেই দূর্নীতিবাজ শফিকুল ইসলাম।
সূত্র জানায়, স্বারক নং এলজিইডি/সিই/সি ৬৬/২০০১/৫১২৫-২৬ মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. নজরুল ইসলামকে ১/৭/২০১৩ তারিখে প্রধান প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমানের স্বাক্ষরে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। ১/১১ এর পর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে চাকুরীকালীন সময়ে ঠিকাদার থেকে অবৈধ ঘুষ নেওয়ার সময় হাতে নাতে দূর্নীতি দমন কমিশন তাকে আটক করে। এসময় তার বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় ২০০৭ সালে মামলা দায়ের করে দূর্নীতি কমিশন। যাহার মামলা নং-৭। ২৫/২/২০১০ সালে থেকে তদন্ত শেষ করে ৯/৪/২০১৩ইং তারিখে চার্জসীট নং ২৬ এর মূলে বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করে। বর্তমানে মামলাটি বিচারিধীন থাকায় তাহাদের উভয়কে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। যা প্রধান প্রকৌশলী ১/৭/২০১৩ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত হয়ে তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বান্দরবান এলজিইডির ও সদর উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে সাময়িক বরখাস্তের কোন পত্র এখনো পৌছায়নি। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ক্য হ্লা খই বলেন, আমি শুনেছি তার বিরুদ্ধে একটি সাময়িক বরখাস্তের পত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তা এখনো আমার দপ্তরে পৌছেনি।

সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাফা মিনহাজ বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলামের কোন সাময়িক বরখাস্তের পত্র পৌছেনি। আমি শিঘ্র হেড অফিসের সাথে যোগাযোগ করে খোজখবর নিব।
অপরদিকে একাদিক এলজিইডি কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিছুক জানিয়েছে প্রকৌশলী মো.শফিকুল ইসলামের সাময়িক বরখাস্তের পত্রটি এলজিইডি কার্যালয়ে এসেছে। কর্তৃপক্ষ শফিকুল ইসলামের সাময়িক বরখাস্তের পত্রটি লুকিয়ে রেখেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন