বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
আনন্দ আর খুশীর জোয়ারে মুখরিত প্রাণে ভেসেছে ছিল সবাই। পাহাড়ে আকাশে-বাতোসে ধ্বনিত হয়েছিল এসো হে বৈশাখ এসো এসো। বনাঢ়্য আয়োজনে বাঙ্গালীর চিরায়ত প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করে পাহাড়ী-বাঙ্গালীসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিন্ন ভিন্ন নামে নানা আয়োজনের মধ্যে খাগড়াছড়িতে পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব পালিত হয়েছে। উৎসব চিল চার দিন।
বৈসাবির প্রধান আকর্ষণ ছিল মার্মা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি বা পানি খেলা। এছাড়া ছিল বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ফুল পূজা, প্রদীপ প্রজ্জ্বালন, শোভাযাত্রা ও বৈশাখি মেলা। সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংগ্রাই র্যালি ও পানি খেলার উদ্বোধন করেন।
প্রদীপ প্রজ্জলনের পর মারমা উন্নয়ন সংসদ ও মারমা সংগঠন ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে পৃথকভাবে সাংগ্রাই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
পরে শহরের মারমা অধ্যুষিত গ্রামগুলোর তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা। এই খেলায় তরুণ-তরুণীরা একে অপরের দিকে পানি ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করে। মারমা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস, এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দুঃখ-গ্লানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। সে সঙ্গে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে বেছে নেবে নিজ নিজ জীবন সঙ্গীকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামসুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চাইথোয়াই অং মারমা, জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ করিম, পুলিশ সুপার শেখ মো. মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের উদ্যেগে রিজিয়ন মাঠে বৈশাখি মেলাও অনুষ্ঠিত শুরু হয়েছে। রঙ্গিন আয়োজনে সকল জাতী-গোষ্ঠির মানুষ এ মেলায় অংশ নেয়।