বাঙালি কিশোরীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে জুরাছড়িতে হাতেনাতে আটক সুনীল কুমার চাকমা

fec-image

রাঙামাটির জুরাছড়িতে এক বাঙালি কিশোরীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে হাতেনাতে আটক হয়েছে সুনীল কুমার চাকমা (৪৬)।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জুমআর নামাজের সময় অভিভাবকরা বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে খালি ঘরে বাঙালি দরিদ্র পরিবারের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সুনীল চাকমা। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে হাতেনাতে সুনীল কুমার চাকমাকে আটক করে।

ঘটনা জানতে পেরে টহলরত নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুনীল চাকমাকে ওই কিশোরীর ঘর থেকে আটক করে। পরে তারা আসামিকে জুরাছড়ি থানায় সোপর্দ করেন।

জুরাছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাঙালি কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জুরাছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩)এর ১০ ধারায় দায়েরকৃত মামলা নাম্বার-১, তারিখ: ২৯/০৯/২০২৩ইং।

আটক সুনীল কুমার চাকমাকে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটির আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

জানা গেছে, সুনীল কুমার চাকমা জুরাছড়ি উপজেলাধীন ৩ নম্বর মৈদং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাঠালতলী এলাকার দয়াধন চাকমার ছেলে এবং পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার সময় মেয়েটি বাসায় একা রুমে বসে টিভি দেখছিলো। এসময় সুনীল কুমার চাকমা বাসায় প্রবেশ করে, অভিভাবকরা কেউই বাসায় নেই জানতে পেরে যৌন কামনা চরিতার্থ করতে কিশোরী মেয়েটির শরীরের বুকে ও পেটে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে।

এ সময় ভুক্তভোগী মেয়েটি চিৎকারে তার বাবাসহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে হাতেনাতে সুনীল কুমার চাকমাকে আটক করেন। এ সময় এলাকায় টহলরত নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা ঘটনা জানতে পেরে এগিয়ে এসে সুনীলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

জুড়াছড়ি থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩)এর ২২ ধারা মোতাবেক ভুক্তভোগীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, চাকমা, ধর্ষণ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন