বাঙালীয়ানায় বিজিবি স্টল

14.04.2017_Gumara BGB NEWS Pic-04
নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা :

বাঙালীর হাজার বছরের সংস্কৃতির মাঝে সার্বজনীনতা লাভ করেছে বৈশাখী উৎসব। আর সার্বজনীনতাকে হৃদয়ে ধারণ করে গুইমারা রিজিয়ন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় নিজেদের স্টল সাজিয়েছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-বিজিবি। স্টলটিতে শতভাগ বাঙালীয়ানা ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন মেলা মাঠে ঘুরতে আসা অনেকেই।

জাতীয় পতাকাবাহী নৌকা আর তার পাশেই বাঙালীদের শত বছরের ঐতিহ্য গরুর গাড়ী সামনে রেখে পাহাড়ের ঐতিহ্য ছনের ঘরে ছনের ঘরে নিজেদের স্টল সাজিয়েছে বিজিবি গুইমারা সেক্টরের পক্ষে ৪০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-পলাশপুর জোন। আর সে ঘরে প্রবেশ মুখেই রাখা আছে বাঙালীদের আরেক ঐতিহ্য পালকি। বিজিবির পলাশপুর জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ এর পরিকল্পনায় স্টলটি সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির একাধিক সদস্য।

বাঁশের বেড়া আর ছনের ছাউনি ঘরে প্রবেশ করতে দেখা মেলে নান্দনিকতার ছোয়া। গোটা দশেক মুভিং ফ্যান, দামী সোফা দিয়ে দর্শনার্থীদের আপ্যায়নের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সম্পুর্ণ দেশীয় খাবার সম্বৃদ্ধ এ স্টলটিতে যেন বাঙালীয়ানারই গন্ধ পাওয়া গেল। এছাড়াও বাইরে একাধিক ছাতা দিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খাবারের মধ্যে রয়েছে ঘরে তৈরী নানা রঙের পিঠা, ফুসকা, চটপটিসহ নানা ধরনের শরবত। মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা দেশীয় খাবারের গন্ধ পেতেই ছুটে আসছে বিজিবির স্টলে। দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীরের মধ্যেও বিজিবির গোটা দশেক সদস্য অতিথি-আপ্যায়নে কোন রকমের বিরক্তি প্রকাশ করছেন না। স্বাচ্ছন্দেই আতিথেয়তা দিয়ে যাচ্ছেন।

ঘুরে ঘুরেই সবকিছু নিবিড়ভাবে তদারকি করছেন পলাশপুর জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ। ব্যস্ততার ফাঁকেই কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্টল সাজাতে আমরা শতভাগ উজাড় করে দিয়েছি। বানিজ্যিক চিন্তা থেকে নয় বরং আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

গুইমারা রিজিয়নের তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন প্রসঙ্গে পলাশপুর জোনের জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ বলেন, বৈশাখী উৎসবকে ছড়িয়ে দিতে এর চেয়ে ভালো উদ্যোগ আর হতে পারেনা। তিনি বলেন এটা শুধু উৎসব নয়। এ উৎসব আমাদেরকে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়, আমাদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধকে জাগ্রত করে। মানুষে মানুষে সম্পর্কের সেতুবন্ধুন তৈরী করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন