বান্দরবানের নিখোঁজ বিজিবির সদস্যের লাশ পাওয়া যায়নি

fec-image

নিখোঁজ

স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবান থানছি-মিয়ানমার সীমান্তে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শেষে ফেরার পথে সাংঙ্গু নদীর নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ বিজিবির সদস্য জুয়েল রানা(২২) এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিন্দু ইউনিয়নের বড় পাথর বা রাজা পাথর পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবির ২টি একে ৪৭ ও ২টি চায়নিজ রাইফেল এবং বিপুল পরিমাণ বুলেট নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, বিজিবির সদস্য জুয়েল রানাসহ অস্ত্র এবং বুলেট উদ্ধারে নৌবাহিনীর লে. আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে নৌবাহিনীর সাত সদস্যের একটি ডুবুরি দল শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তাদের সাথে স্থানীয় পাহাড়ি ও অভিজ্ঞ জেলেরাও উদ্ধারে অংশ নিয়েছে। নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে অভিযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। অভিযনে এখনও কিছুই উদ্ধার করা যায়নি।

বিজিবির সদস্য নিখোঁজ হওয়া কথা স্বাীকার করলেও অস্ত্র-বুলেট নিখোঁজের খবর অফিসিয়ালী বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহম্মেদ চৌধুরী ও বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ওয়ালিওয়র রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। বিজিবির সদস্য জুয়েল রানার আত্মীয় স্বজনরা চুয়াডাঙ্গা থেকে ঘটনা স্থলে পৌঁছেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আরাকান আর্মির সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে থানছি-মিয়ানমার সীমন্তে সাংঙ্গু ও মাতামুহুরী রিভার্জ ফরেস্ট এলাকায় ১৪ দিনের বিশেষ অভিযান শেষে বিজিবির ৫৫ সদস্যের দলটি ১৪টি নৌকা যোগে থানছি সদর ব্যাটালিয়নে ফিরছিলেন। পথে ৫ জওয়ানের নৌকাটি তিন্দু এলাকায় রাজা পাথরের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এদের মধ্যে একজন জওয়ান অস্ত্র ও বুলেট নিয়ে নিরাপদে ফিরেন। জুয়েল রানাসহ অন্য তিন জনের অস্ত্র ও বুলেট নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার পর থেকে ঐ এলাকা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে।

নৌকার মাঝি অং সিং ম্যা জানান, জীবনে কতবার নৌকা নিয়ে থানছি থেকে লিগ্রী গেলাম কখনো দূর্ঘটনা ঘটেনি। কিভাবে রাজা পাথরে ধাক্কা লাগল বুঝতে পারছিনা।

থানছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর আলী বলেন, নৌকা ডুবির দূর্ঘটনার কথা বিজির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে কোন ডায়রী এখনো করেনি।
থানছির স্থানীয় সাংবাদিক অনুপম মার্মা জানান, ২০১৩ সালে একই স্থানে অনুরূপভাবে ঘটা দুর্ঘটনায় একজন বম স্প্রদায়ের লোক নিখোঁজ হন। তার লাশ উদ্ধার করা যায়নি।

গত ২৬ আগস্ট বান্দরবানের থানছি উপজেলার বড় মদক এলাকায় বিজিবির একটি টহল দলের ওপর মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী অরাকান আর্মির সদস্যরা গুলি বর্ষণ করে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন। এ ঘটনার পর সন্ত্রাসী তৎরতা দমনে মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান শুরু করে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন