বান্দরবানের রাম মন্দির থেকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

maxresdefault-500x281 copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানের রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করলেও সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রাজস্ব বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয়রা।

জানা যায়, ২০০৫ সালের দিকে রাম মন্দিরের কার্যক্রম শুরু হয়। গত পাঁচ বছর ধরে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ১০/১৫ টাকা হারে টিকেট দিয়ে আদায় করে আসছে। প্রতি বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করলেও সরকারকে এ পর্যন্ত এক টাকাও রাজস্ব দেয়নি স্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ।

এর আগেও স্বর্ণ মন্দির কর্তৃপক্ষ বছরের কোটি কোটি টাকা আদায় করলেও সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এসেছে।

রাম মন্দিরের ইনচার্জ বৌদ্ধ ভিক্ষু শোভনা প ঞা প্রকাশ কালা ভান্তে পার্বত্যনিউজকে বলেন, আমরা ১৫ টাকা টিকেটের মাধ্যমে দর্শানার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেই। মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার খরচ হিসেবে দর্শনার্থীদের থেকে ১৫ টাকা করে নিই। এ আয়ের থেকে সরকারকে কোন রাজস্ব দেয়া হয় না।

সূত্র জানায়, প্রতিদিন শতশত দর্শানার্থী রাম জাদি মন্দিরে যায়। দৈনিক কমপক্ষে ৫০০ জন হলে ১৫ টাকা হিসেবে ৭৫০০ টাকা আয় হয়। মাসে দু-লক্ষ পঁচিশ হাজার আর বছরে দু-কোটির উপরে। এ থেকে একটাকাও সরকারকে রাজস্ব না দিয়ে ফাঁকি দিয়ে আসছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে স্বর্ণ মন্দির দর্শনার্থীদের খোলা থাকার সময়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮/৯শ দর্শনার্থী আসত। দর্শনার্থীদের জন্য ২০ টাকা টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে বছরে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার বেশী আয় হত বলে জানা গেছে। কিন্তু সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এসেছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক বলেন, জেলা প্রশাসন পরিচালিত পর্যটন গুলোর আয় থেকে সরকারকে রাজস্ব দেয়া হয়। রাম মন্দিরে প্রবেশকালে টাকা দিয়ে টিকেট নেয়া হয় কিনা আমার জানা নেই। প্রবেশকালে যদি টিকেট নেয় সরকারকে অবশ্যই রাজস্ব দিতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

One Reply to “বান্দরবানের রাম মন্দির থেকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার”

  1. Take a necessary steps before news flash.as your news headings also create conflict between local people. You should increase knowledge of GVt Law and Order Rules. Then you are permitted flash news as like.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন