বান্দরবানে চম্পাফুল কাঠ আটক

Bandarban pic-3.4

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

বান্দরবানে বনবিভাগ শহরের বিভিন্ন কাঠের ডিপুতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোরাই চম্পা কাঠ জব্দ করেছে। এবিষয়ে বনবিভাগ কোন চোরাকারবারীর পারমিট বাতিল বা কারো নামে মামলা দায়ের করেনি।

সূত্র জানায়, সোমবার সকালে শহরের ৮টি কাঠের ডিপোতে যৌথ ভাবে অভিযান পরিচালনা করে বান্দরবান বিভাগীয় বন বিভাগ ও পাল্পউড প্লান্টেশন বন বিভাগ। এসময় ২৩৭ টুকরায় ৮০৯ ঘনফুট চম্পা ফুল কাঠ আটক করে।

অভিযোগ রয়েছে, বান্দরবানে জোট পারমিটের আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে কাঠ ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় নিশিদ্ধ চম্পাফুল কাঠের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। কতিপয় বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারি যোগসোগে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন থেকে রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে চম্পাফুল কাঠ পাচার করে আসছে। জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দুর রির্জাভ ফরেস্ট থেকে বিজিবি, পুলিশ, সেনা ও বনবিভাগের কয়েকটি চেকপোস্ট পেরিয়ে কিভাবে এত চম্পাফুল কাঠ শহরে মজুদ করা হয়েছে সে বিষয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা সদুত্তর দিতে পারেনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আটককৃত কাঠগুলো মো. জাহাঙ্গীর আলম (ল্যাডা জাহাঙ্গীর) শহীদ মাষ্টার, সাশসুল ইসলাম শানু, হাজী আহম্মদ সৈয়দ, জানে আলম ও কাওছার। তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা তা অস্বীকার করেন।

এবিষয়ে পাল্পউড প্লান্টেশন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বিপুল কৃষ্ণ সাহা বলেন, বিভাগীয় বন বিভাগ ও পাল্পউড প্লান্টেশন বন বিভাগ যৌথ ভাবে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন কাঠের ডিপুতে অভিযান চালিয়ে ২৩৭ টুকরায় ৮০৯ ঘনফুট চম্পা ফুল কাঠ আটক করা হয়েছে। সরকারি মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। বেসরকারি পর্যায়ে দিগুন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্ধারকৃত কাঠ সরকারি মূল্য এফআইডিসিতে দেয়া হতে পারে।

তিনি আরও জানান উদ্ধার কৃত কাঠগুলোর মালিককে খুঁজে না পাওয়ায় কারোনামে মামলা দায়ের করা যাচ্ছেনা। যদি নাম জানা যায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন