বান্দরবানে চার প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দ

images16

স্টাফ রির্পোটার:

আসন্ন দশম নির্বাচনে বান্দরবান ৩০০নং সংসদীয় আসন থেকে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন ৪জন প্রার্থী। বিরোধীদল নির্বাচনে অংশগ্রহন না করায় দলীয় প্রতীক পেয়েছেন একজন, অন্যপ্রার্থীরা কোন নিবন্ধিত দলের প্রাথী না হওয়ায় তারা সতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বীর বাহাদুর (উশৈসং) নৌকা প্রতীক,  আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ এর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত না থাকায় এই সংগঠনটির মনোনিত প্রার্থী ছোটন কান্তি তঞ্চগ্যা সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতী প্রতীক, সদ্য বহিস্কৃত জেলা আওয়ামীলীগ  সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চগ্যা টেবিল ঘড়ি এবং লামা নাগরিক পরিষদের মনোনিত সতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান টিয়া পাখি প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কে এম তারিকুল ইসলাম প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকক ফয়েজ আহম্মদ, জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ, সহকারী কমিশনার শামীম হোসাইন এবং প্রার্থী ছোটন কান্তি তঞ্চগ্যা, বীর বাহাদুরের পক্ষে পৌর কমিশনার মংনুচিং, প্রসন্নের পক্ষে প্রকৃতি বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। কামরুজ্জামান উপস্থিত না থাকায় রিটানিং অফিসার মঠো ফোনের মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী  বীর বাহাদুর এমপি ৩০০ নং আসনে পর পর চারবার নির্বাচিত হয়ে আসছেন। নবম সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান ৩০০নং আসন থেকে নির্বাচনে ৭৮৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদন্তি বিএনপির সাচিং প্রু জেরী ৫৯১৪৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এর আগে ১৯৮৯ সালে বান্দরবান স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।

নবম সংসদ নির্বাচনে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ এর মনোনিত প্রার্থী জেলা আহ্বায়ক ছোটন কান্তি  ৬২৮ ভোট পেয়ে জামানত হারান।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহনের লক্ষে আগেই থেকে মিডিয়ায় প্রচার করে আসছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা। সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিলের দু-ঘন্টার মধ্য তিনি দল থেকে বহিস্কৃত হন। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়ীত্ব পালন করে ছিলেন। এর আগে তিনি ১৯৮৯ সালে বান্দরবান স্থানীয় সরকার পরিষদ বিনা নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বীতায় সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

কামরুজ্জামান জেলায় সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। তিনি বর্তমানে মাই টিভির প্রতিনিধি হিসেবে লামায় দায়ীত্ব পালন করে আসছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন