রাঙামাটিতে ২০১৩ সালে ১৬ জন যক্ষ্মারোগী মৃত্যুবরণ করেছে
রাঙামাটি সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি(নাটাব) আয়োজনে আসুন যক্ষ্মা মুক্ত দেশ গড়ি শীর্ষক জেলা এডভোকেসী সভায় বক্তারা জানায়, রাঙামাটিতে ২০১৩ সালে ১৬ জন যক্ষ্মা রোগী মৃত্যু বরণ করেছে। এছাড়াও কফে জীবাণু ছিল এমন ৪২৭ জন, কফে জীবাণু ছিল না ১৪২ জনের, ফুসফুস বহির্ভূত রোগী ছিল ৭০ জন।
দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক ও নাটাব এর রাঙামাটি সহ-সভাপতি এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ অনুপ দেওয়ান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট(ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ সুশোভন দেওয়ান, নাটাব রাঙামাটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মজুমদার। সভায় দৈনিক রাঙমাাটি পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার আল হক সহ রাঙামাটির বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদিকরা অংশ গ্রহণ করেন। এতে সঞ্চালনা করেন নাটাবের অর্থ সম্পাদক মোঃ মোসলেহ উদ্দিন।
সভায় বক্তারা জানান, যক্ষ্মা একটি সংক্রামণজনিত রোগ। ১৮৮২ সালে যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলসিস আবিষ্কার করেন ডা. রবার্ট কক। এ রোগের চিকিৎসা ও ঔষধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। যক্ষ্মা রোগীর কফ, হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে জীবাণু বের হয়ে বাতাসে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তা সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে।
সভায় আরো জানানো হয় যে, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি(নাটাব) কাজ করছে। নাটাব সরকারের ডটস্ কর্মসূচীর অংশীদার হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে আসছে।
সভায় যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে জানানো হয় যে, তিন সপ্তাহের বেশি কাশি, শরীরের ওজন ও ক্ষুধা কমে যাওয়া, রাতে জ্বর আসা, বুকে ব্যাথা ও শ্বাস কষ্ট হওয়া যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ। যক্ষ্মা রোগের ক্ষেত্রে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া তা হল তিন সপ্তাহের বেশী কাশি থাকলে কফ পরীক্ষা করা, কফ পরীক্ষায় রোগ শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করা। নিয়মিত, ক্রমাগত, সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভাল হয়।