রাজস্থলীর ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহারে ৫ম দানোৎসব কঠিন চীবর দান সম্পন্ন

fec-image

রাঙ্গামাটি জেলাধীন রাজস্থলী উপজেলা সদর ত্রিরত্ন  বৌদ্ধ বিহারে ৩ মাসের বর্ষাবাস (উপোস) শেষে নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় কঠিন চীবর দানোৎসব উদযাপিত হয়েছে। শুভ দিনটির উপলক্ষে  শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে রাজস্থলী উপজেলা সদর ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান অস্ট পরিষ্কার দান, হাজার বাতি দান ও ধর্ম দেশনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে কঠিন চীবর দানোৎসব।

এতে জগতের সকল প্রাণীর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে শনিবার সকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ভান্তেকে ছোয়াইং খাবার প্রদান করে উৎসব পালন করে।

সকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রদীপ পুজা ফুল ফল পুজা ও প্রার্থনা করেন। বিকাল পৌণে দুইটায় সভাপতিত্ব করেন ঞানিসারা মহাথের অধ্যক্ষ মব্বই পাড়া বৌদ্ধ বিহার। প্রধান ধর্মালোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার শ্রীমৎ ডক্টর জিনবদি মহাথের, প্রধান ধর্মালোচক হিসেবে ছিলেন, ভদন্ত সত্যপ্রিয়থের অধ্যক্ষ ভালুকিয়া লুমবনি বৌদ্ধ বিহার, আশীবার্দক ভদন্ত ধর্মানন্দ মহাথের অধ্যক্ষ রাজস্থলী মৈত্রী বিহার।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উবাচ মারমা, চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ রাজস্থলী এবং অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন বিহার হতে আগত পুজনীয় ভান্তেগণ।

কঠিন চীবর দানোৎসব মুলতঃ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধানতম ধর্মীয় মাসব্যাপী কর্মীয় অনুষ্ঠান। আষাঢ়ী পুর্নিমার পর দিন থেকে বিহারে শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎসব। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি ও সেই সুতায় চীবর তৈরি করা হয়ে থাকে। প্রথমে চরকারের মাধ্যমে তুলা থেকে সুতা করে সুতা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রং দিয়ে বেনীর মাধ্যমে তৈরি করা হয় চীবর বা কাপর। এই চীবর পরের দিন বিকালে দায়ক-দায়িকারা উৎসর্গ (দান) করেন ভান্তেদের উদ্দেশ্যে ফলে বিহারে আয়োজন করা হচ্ছে এই কঠিন চীবর দানোৎসব।

উদ্দেশ্য একটাই, গৌতম বৌদ্ধকে সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই চীবর দান পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঞ্চালনা করেন উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা সহাকারি শিক্ষক তাইতং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিহার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলেন্দ্র তংচংগ্যা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উৎসব, কঠিন চীবর দানোৎসব, বৌদ্ধ বিহার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন